বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আপনারা (সরকার) যদি মনে করেন আমাদের লোকদের ধরে নিয়ে জেলে রেখে নির্বাচন দিবেন তাহলে সেই নির্বাচন হবে না। বিএনপি বড় পার্টি। বিএনপিকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা নির্বাচন করবই চাইলেও বাইরে রাখা যাবে না।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা বলেন, বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। এই পার্লামেন্ট বহাল রেখে নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে না। আমরা নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচনে যাবো। নির্বাচন করবো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। হাসিনার অধীনে নয়।
হাসিনার অধীনে আরো কিছুদিন দেশ চললে কিছুই থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ৫ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা অন্য একটি দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দিলো। আমাদের অন্য আরেকদিন সমাবেশের অনুমতি দিতে পারতো।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা শৃঙ্খলা মেনে চলতে চাই। তারাই (সরকার) শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে। পুলিশ খারাপ নয়। তারা পুলিশকে খারাপ বানায়। আপনারা (পুলিশ) জনগণের সেবক। জনগণের সমস্যা সমাধানে আপনারা কাজ করবেন। আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নাই। রাগ নাই। যাদেরকে বিনা কারণে আটক করেছেন তাদের ছেড়ে দিন।
বাংলাদেশকে কারাগার বানিয়ে ফেলা হয়েছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, এই কারাগার থেকে মুক্ত শুধু আওয়ামী লীগ ও হাসিনা। দেশে যে গণতন্ত্র নেই তারা তা প্রমাণ করে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা জঙ্গি সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে খালেদা বলেন, আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন তারা জঙ্গি তৈরি করেছে। শায়েখ আবদুর রহমান, বাংলা ভাই আওয়ামী লীগের আত্মীয়। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তারা শান্তি চায়। সরকার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জঙ্গি বানাচ্ছে। তারা দিনের পর দিন আটক রেখে নিরপরাধ মানুষকে জঙ্গি সাজায়।
সরকারের কারসাজি এদেশের মানুষ জেনে গেছে উল্লেখ করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এজন্য ছাত্র ও যুব সমাজকে জেগে উঠতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিশন-২০৩০ তুলে ধরে খালেদা জিয়া ভবিষ্যতে তার নানা প্রতিশ্রুতির কথা বলেন।
বিএনপি প্রধান বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে আর বিশ্বাস করে না। সত্যিকারে জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতায় আসে না। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। গুম-খুন করেছে। তারা কারো না কারো কাঁধের উপর ভর করে ক্ষমতায় বসেছে।
এসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. আবদুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনসহ ছাত্রদলের সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।