প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তা কোনোভাবেই ভোটারবিহীন নির্বাচন ছিল না, যেমন বিএনপি ও এরশাদের আমলে এ দেশে নির্বাচন হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন। সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রারম্ভিক বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই একটি কথা আমি জাতিকে বলতে চাই যে, তারা (বিএনপি) যে বলে আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ভোটারবিহীন করেছে। কিন্তু ৫ জানুয়ারি নির্বাচন ভোটারবিহীন নির্বাচন ছিল না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৪০ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ভোট ঠেকানোর জন্য খালেদা জিয়া আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। ৫৮২টি স্কুল পুড়িয়েছে, ভোট কেন্দ্র পুড়িয়েছে, প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। তারপর এ দেশের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে এবং ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ ভোট দিয়েছে বলেই কিন্তু আজ আমরা টানা সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদেরও ৪ বছর পূর্ণ করতে পারলাম। এরশাদ কিন্তু পারে নাই। এরশাদ ’৮৮ সালে নির্বাচন করেছে এবং ৯০ এ তাঁর পতন ঘটেছে। খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় টিকতে পারে নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে জনগণের চাপে ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। মাত্র দেড় মাস তারা ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিল। কারণ, তারা জনগণের ভোট চুরি করেছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়। কাজেই গণতন্ত্রকে সুরক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন এ দেশে যেন কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না চলে।
জিয়া ও এরশাদ দুজনেই ক্ষমতায় থেকে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট শিশু, নারী ও দেশের রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান তাঁদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। পরবর্তীতে যখন জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় আসেন তখন জিয়ার মতো ওই একই পন্থায় খুনিদের সংগঠন করার এবং রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার অনুমোদন দেন। এরপর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আরও একধাপ ওপরে গিয়ে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে জনগণের ভোট চুরি করে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেন। আর ওই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি কর্নেল রশিদকে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার চেয়ারে বসান। আরেক খুনি হুদা যার ফাঁসি হয়ে গেছে তাকেও সংসদে এনে সেদিন বসিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। বাসস