একটি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডাদেশ ও আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন দায়েরে হলফনামা করার অনুমতি চেয়ে সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার করা আবেদন উপস্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আজ রোববার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর ফলে ওই মামলায় নাজমুল হুদাকে আত্মসমর্পণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের করা একটি মামলায় গত ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে নাজমুল হুদাকে চার বছরের কারাদণ্ড ও তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদাকে কারাভোগের সময়কে সাজা হিসেবে গণ্য করা হয়। রায়ের কপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের অপেক্ষায়। এ অবস্থায় ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন দায়ের করার জন্য হলফনামা করার অনুমতি চেয়ে নাজমুল হুদা আবেদনটি করেন। এই আবেদনের ওপর ২ জানুয়ারি শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশর জন্য আজ দিন রেখেছিলেন।
আপিল বিভাগে আবেদনের পক্ষে নাজমুল হুদা নিজেই শুনানিতে অংশ নেন।
দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আবেদনকারীর (নাজমুল হুদা) অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আবেদনটি উপস্থাপন না করার কথা জানালে আদালত আবেদনটি উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
২০০৭ সালের ২১ মার্চ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুম গ্রহণের অভিযোগে নাজমুল হুদা দম্পতির বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে দুদক। এই মামলায় একই বছরের ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালতের রায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছর ও সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে হুদা দম্পতি হাইকোর্টে আবেদন করেন, যার ওপর শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২০ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে তাঁরা খালাস পান। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করে। এর ওপর শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় আপিল শুনানি করতে নির্দেশ দেন। এর পর পুনঃশুনানি শেষে গত ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন।
নাজমুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ের কপি পেলে নিয়মিত আপিল করা হবে। আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।