ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ছয় মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ-সংক্রান্ত রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ রায় দেন।
ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালের ২১ মার্চ রিট আবেদনটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ২৫ শিক্ষার্থী। এর ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল দিয়েছিলেন। রুলের ওপর গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষ হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অমিত তালুকদার।
শুনানিতে মাহবুবে আলম বলেন, নির্বাচনের জন্য পরিস্থিত বিবেচনা করতে হবে। অনুকূল পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট নির্বাচন চলছে।
অন্যদিকে, আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডার অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কাজ করবেন। অথচ ১৯৯১ সাল থেকে ডাকসুতে নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। ওই অর্ডার অনুসারে সিনেটে ডাকসুর প্রতিনিধি থাকবেন। ডাকসুর প্রতিনিধি না থাকায় সিনেটের কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
ছয় বছর আগে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুলে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রিটে শিক্ষাসচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও কোষাধ্যক্ষকে বিবাদী করা হয়েছিল।