রাজধানীসহ দেশের সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, উপাধক্ষ্য, অধ্যাপকসহ বিভিন্ন শীর্ষ পদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে সরাসরি কোনো বদলি ও পদায়ন হবে না।
এখন থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সভাপতি ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে সহ-সভাপতি করে গঠিত ছয় সদস্যের বিশেষ কমিটির মাধ্যমে সব বদলি ও পদায়ন হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রশাসন-১ অধিশাখার উপসচিব মো. রেজাউল আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশপত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই আদেশে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন অধ্যক্ষ, উপাধক্ষ্য, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারি অধ্যাপক, পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারি পরিচালক, সিভিল সার্জন, সিনিয়র কনসালটেন্ট ও জুনিয়র কনসালটেন্ট সংক্রান্ত বদলি ও পদায়ন বিষয়ে ছয় সদস্যের কমিটি গঠিত হলো।
কমিটিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভাপতি, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সহ-সভাপতি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সদস্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে সদস্য করা হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়, এ কমিটি নিয়মিত বৈঠকে বসবেন এবং এ কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে কোনোরূপ বদলি ও পদায়ন হবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ৪৯৯ জনকে সহকারি অধ্যাপক, ১ জনকে সহযোগী অধ্যাপক ও ১২৫ জনকে অধ্যাপক, ১৬৬ জনকে সহকারি পরিচালক এবং ৩২৭ জনকে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক পদে সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়।
সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন শীর্ষ পদে পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিপুল অংকের টাকা উৎকোচ প্রদানের পাশাপাশি তদবির ও সুপারিশের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত যোগ্য ও মেধাবীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি, পদায়ন ও বদলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন মূলত তদবির ও দুর্নীতি বন্ধ করতেই বিশেষ এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।