যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে থেকে আলাদা হওয়ার ঘোষনা দিয়েছে এর একাংশ। সোমবারই স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে নিউ ক্যালিফোর্নিয়া নামের ওই অংশটি।
নিউ ক্যালিফোর্নিয়ার প্রবক্তা রবার্ট প্রেস্টন সোমবার এই ঘোষণা দিয়ে একে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
১৮৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৩১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া অন্তর্ভুক্ত হয়। আয়তনে এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় অঙ্গরাজ্য, জনসংখ্যায় প্রথম।
স্বাধীনতাকামীদের দাবি, সংবিধানের সেকশন ৩ এর ৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে। এই নতুন ‘নিউ ক্যালিফোর্নিয়া’ গঠিত হবে বেশির ভাগ গ্রামীন কাউন্টি নিয়ে।
স্বাধীনতার আন্দোলনকারীদের দাবি, গ্রামীন কাউন্টিগুলো বৈষম্যের শিকার। জাতীয় বাণিজ্য, পরিবেশ নীতি ও অভিবাসন নীতিতেও বৈষম্যে করা হয় এইসব কাউন্টিতে। আন্দোলনকারী রবার্ট পল বলেন, শিক্ষা, আইন শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য সুরক্ষার অবনমন ঘটেছে। এমনকি কর ব্যবস্থাপনা, রাজনীতির কারণে ৫৮টি কাউন্টি শাসনহীন হয়ে পড়েছে। তাই আমরা স্বাধীনতা চাই।
এদিকে এটাই স্বাধীনতার প্রথম উদ্যোগ নয় এরআগেও ২০১৪ সালে স্বাক্ষরতা অভিযান চালানো হয় সেখানে ক্যালিফোর্নিয়াকে ৬টি নতুন অঙ্গরাজ্যে বিভক্ত করা কথা বলা হয়।
২০১৭ সালেও ‘ইয়েস ক্যালিফোর্নিয়া ইন্ডিপেনডেন্স’ নামে প্রচারনা চালানো হয় অঙ্গরাজ্যব্যাপী। বর্তমানে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ একটি গণভোট আয়োজনের লক্ষ্যে স্বাক্ষর গ্রহণ চলছে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাধীনতার দাবিকে ব্রেক্সিটের আদলে ‘ক্যালেক্সিট’ নামেও একটি কর্মসূচিও পরিচালনা করছে একটি গ্রুপ।