১০ হাজার বা তার বেশি টাকার মার্সেল পণ্য কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। মিলছে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। এরইমধ্যে অনেক গ্রাহকই লাখ টাকার ভাউচার পেয়ে কিনে নিয়েছেন ঘরভর্তি মার্সেল পণ্য। অনলাইন বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান এবংএই সেবা কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পেইন করে মার্সেল। প্রধানত দুটি কারণে আরো দুইমাস এই কার্যক্রমের মেয়াদ বাড়িয়েছে মার্সেল কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে রয়েছে নতুন বছর এবং ডিজিটাল কার্যক্রমে ক্রেতাদের আশানুরূপ সাড়া। এখন এই ক্যাশ ভাউচার সুবিধা ক্রেতারা পাচ্ছেন আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অর্থাৎ মার্সেলের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম-কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সেস কিনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতারা নিতে পারছেন ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ।
মার্সেল বিপণন বিভাগের প্রধান ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পেইনটি সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। নতুন বছরেও পণ্য রেজিস্ট্রেশনে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাব ধরে রাখতেই ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরো দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। তিনি মনে করেন, ক্যাম্পেইনের সময় বৃদ্ধির ফলে মার্সেলের কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরির প্রক্রিয়া আরো দ্রত এগিয়ে যাবে। এর ফলে পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারব। সংশ্লিষ্ট পণ্যের পুরো ইতিহাস সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্রাহকদের দ্রুত ও উন্নত সেবা দিতে গত বছরের শুরুতেই বিক্রয়োত্তর সেবাকে অনলাইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয় মার্সেল। এর আওতায় মার্সেল শোরুম থেকে পণ্য ক্রয়ের পর গ্রাহক তার মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে তা রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন। এ প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়। ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো প্রান্তে মার্সেলের সার্ভিস সেন্টার থেকে কাঙ্খিত সেবা পাওয়া যাবে।
কিন্তু তখন পণ্য রেজিস্ট্রেশনে গ্রাহকের কাছ থেকে ভালো সাড়া মেলেনি। এরই প্রেক্ষিতে অনলাইন বিক্রয়োত্তর সেবা আরো গতিশীল করতে গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পেইন চালায় মার্সেল। তাতে মিলেছে ব্যাপক সাড়া। এ সময় দেশজুড়ে চালানো হয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য রেজিস্ট্রেশনে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে দশ হাজার বা তারচেয়ে বেশি মূল্যের মার্সেল পণ্য কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেয়েছেন ৩’শ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। গ্রাহকের আগ্রহ ধরে রাখতে এর মেয়াদ বাড়লো আরো দুই মাস।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের চন্দ্রায় মার্সেলের রয়েছে নিজস্ব উৎপাদন কারখানা। সেখানে বিশ্বের লেটেস্ট সব প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে মার্সেল ব্র্যান্ডের উচ্চ গুণগতমানের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সেস। এই দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য সম্ভারে রয়েছে ফ্রস্ট ও ননফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, ইন্ডাকশন কুকার, গ্যাস স্টোভ, সিলিং, রিচার্জেবল ও ওয়াল ফ্যান, ইলেকট্রিক সুইস-সকেটসহ অন্যান্য পণ্য।
এসব পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে মার্সেল। এতে করে ফ্রিজ ও এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধাসহ এলইডি টেলিভিশনে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টির সুবিধা দিচ্ছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি।