আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাজার জিয়ারত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লক্ষ্য না, মামলার রায়কে কেন্দ্র করে তিনি শোডাউন করতে চান। তাঁর সঙ্গে লোকজন আছে, সেটাও দেখাতে চান।
আজ সোমবার দুপুরে সেতু ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাজার জিয়ারতটা তাঁর (খালেদা জিয়া) লক্ষ্য না, তাঁর লক্ষ্য হচ্ছে তাঁর মামলার রায়কে কেন্দ্র করে তিনি শোডাউন করতে চান। তাঁর সঙ্গে লোকজন আছে, সেটাও দেখাতে চান। আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চান, সঙ্গে সঙ্গে পলিটিক্যাল প্রেশার সৃষ্টি করতে চান। মাজার জিয়ারতের সঙ্গে এটার তো কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
আজ সকালে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর সিলেটে যাওয়ার পথে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে বিভিন্ন স্থানে জড়ো হওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাধা ও ধরপাকড়ের অভিযোগ করে বিএনপি। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বিমানপথে না গিয়ে সড়কপথে একটি ব্যস্ত সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে গেছেন। তিনি বলেন, এটির কোনো দরকার ছিল না, কারণ তাঁর এজেন্ডা হচ্ছে সেখানে মাজার জিয়ারত করা। মাজার জিয়ারত করার জন্য তিনি রাস্তায় শোডাউন করবেন, রাস্তা দখল করলে পুলিশ সেখানে বাধা দেবেই।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তা দখল করলে মাইলের পর মাইল, কিলোমিটারের পর কিলোমিটার রাস্তায় যানজট হয়ে যাবে। আবার ঢাকা-সিলেট অত্যন্ত ব্যস্ত মহাসড়ক। এখানে যানবাহন, পণ্য পরিবহন, যাত্রী পরিবহন—সবদিক থেকেই এটি অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি মহাসড়ক। এখানে তো তাঁর মাজার জিয়ারতের জন্য এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল না। সিলেটে তিনি বিমানে যেতে পারতেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো প্রচারণার তো দরকার ছিল না, খালেদা জিয়ার লক্ষ্য ছিল মাজার জিয়ারত। মাজার জিয়ারত হলে তিনি পথে পথে কেন রাস্তা দখল করবেন? রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করবেন? মাইলের পর মাইল যানজট সৃষ্টি করবেন? মানুষকে ভোগান্তির মুখে ঠেলে দেওয়া তো রাজনীতির ভাষা নয়। এটি তো হতে পারে না। তিনি বলেন, ‘আমরা তো তাঁকে একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে ভাবি। তাঁর কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। রাস্তা দখল করে শোডাউন করা কিন্তু দায়িত্বশীলতা না।’