খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আজ বুধবার গাবতলী ঘুরে ঢাকামুখী যানবাহনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্যের এমন তৎপরতাই দেখা গেছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলোর প্রতি বেশি নজরদারি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ঢাকা গামী যাত্রীদের সংখ্যাও অনেক কম লক্ষ্য করা গেছে। পরিবহন মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা ছাড়ছেন এমন যাত্রী সংখ্যা মোটামুটি থাকলেও বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেকেরও কম।
এদিকে আগামীকালের রায়কে কেন্দ্র করে গাবতলীতে ১০০ জন ট্রাফিক পুলিশ ডাবল শিফটে দায়িত্ব পালন করছেন। আগে তারা তিন শিফটে এ দায়িত্ব পালন করতেন। দারুস সালাম থানা-পুলিশও তাদের সঙ্গে তৎপর রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল পুলিশ সদস্যের সাপ্তাহিক ছুটিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাবতলী ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার সাইফুল আলম মুজাহীদ। তিনি জানান, আগামীকাল কমিউনিটি পুলিশের ৯০ জন সদস্যও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে।
নওগাঁ থেকে আসা হানিফ পরিবহনের চালক মোহাম্মদ আলী জানান, তাঁর গাড়িতে ৪০ জন যাত্রীর বদলে মাত্র ২৫ জন এসেছে। ঢাকার বাইরে তিনি কোনো তল্লাশির সম্মুখীন হননি। তবে গাবতলীর পর্বত সিনেমা হলের সামনে থাকা পুলিশ বক্সের কাছে পৌঁছার পর তাঁর গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
বিভিন্ন বাস কাউন্টারে গিয়ে সেখানে থাকা কর্তব্যরত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার বাহির থেকে ৩০ শতাংশ গাড়ি কম আসছে। মূলত যাত্রী সংকট থাকার কারণেই বিভিন্ন জেলা থেকে বাস ছেড়ে আসতে পারছে না বলে তাঁরা জানান।
দক্ষিণ বঙ্গের সাতক্ষীরা এক্সপ্রেসের ম্যানেজর বোরহানউদ্দিন বলেন, প্রতিদিন তাঁদের গাড়ির ১২টি ট্রিপ থাকে। কিন্তু আজকে ৫টির বেশি ট্রিপ দিতে পারছেন না।
ঢাকা শহরেও গণপরিবহনের সংখ্যা কম লক্ষ করা গেছে। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সংলগ্ন ক্রিসেন্ট রোড।