টানা পাঁচ কার্যদিবস অস্বাভাবিক দরপতনের পর মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়। তবে এক কার্যদিবসের ব্যবধানে বুধবার আবারও দরপতন হয়েছে।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
আজ ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৮৮টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম।
তবে মূল্যসূচক এবং অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমলেও বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই আজ ৩৯৮ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে।
টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। এদিন প্রতিষ্ঠানটির মোট ২৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার। আর ১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উসমানিয়া গ্লাস।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিটি ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফার্মা এইড, মুন্নু সিরামিক এবং গ্রামীণ ফোন।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টকএক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১৯ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার। লেনদেন হওয়া ২২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৩টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১১৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দাম।