দীর্ঘ সংগ্রামের পর অর্জিত গণতান্ত্রিক সংবিধানের অধীনে নেপালের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান কেপি শর্মা ওলি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
নেপালের নির্বাচনে দ্বিদলীয় বামপন্থী জোটের বিপুল বিজয়ের দুই মাস পর বৃহস্পতিবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওলির নাম ঘোষণার পরই তিনি এ শপথ নেন।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শপথের পর পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, নেপালের নাগরিকরা আপনাকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে জনকল্যাণে আপনার প্রচেষ্টার প্রতি তাদের আস্থা ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যকার চমৎকার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ অঞ্চলের জনগণের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করেতে আপনার সঙ্গে আমি নিবিড়ভাবে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের প্রত্যাশা করছি।
মাওবাদীদের সহিংস বিদ্রোহী তৎপরতা অবসানের ১১ বছর পর নতুন সংবিধানের অধীনে কেপি শর্মা ওলি প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন।
নেপালকে হিন্দু রাজতন্ত্র থেকে ফেডারেল রিপাবলিক কাঠামোতে রূপান্তর করতেই নতুন সংবিধান প্রণীত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শের বাহাদুর দেউবা সরে যাওয়ার পর কেপি ওলি শপথ নিলেন। গত পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার দল নেপালি কংগ্রেস দ্বিদলীয় বামপন্থী জোটের কাছে হেরে যায়।
২০০৬ সালের তীব্র গণআন্দোলনের মুখে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। নেপাল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।