একবার ভাবুন তো! একজন নারী একা ছুটি কাটাতে গিয়েছেন কোনো দ্বীপে। কিন্তু কোনো পুরুষ বাঁকা চাহনিতে তাকাচ্ছে না। সম্পূর্ণভাবে ‘নিরাপদ’ সেই দ্বীপে নিজের খুশিমতো ঘুরে বেড়াতে পারছেন একজন নারী।
এমনই এক দ্বীপ রয়েছে বাল্টিক সাগরে ফিনল্যান্ডের উপকূলে। সেখানে যেতে পারবেন শুধু নারীরাই। পুরুষদের প্রবেশাধিকার নেই সেখানে। ওই দ্বীপে নারীদের অবসর উপভোগের বিলাসবহুল সব সুযোগ-সুবিধা আছে। থাকছে যোগাসন ও ধ্যানের জন্য নির্জন পরিবেশ। আর নানা স্বাদের খাবারের আয়োজন তো আছেই।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দ্বীপটির নাম সুপারশি আইল্যান্ড। ব্যক্তিমালিকানায় থাকা দ্বীপটি বিশেষভাবে শুধু নারীদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে। এ উদ্যোগের পেছনে আছেন বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ক্রিস্টিনা রথ। তাঁর ভাষায়, দ্বীপটি বিশ্বের সব শ্রেণির নারীকে একত্র করবে। সুপারশি আইল্যান্ড হবে সব বয়সের নারীদের গন্তব্য।
ক্রিস্টিনা রথ বলেন, ‘আমরা চাই সুপারশি আইল্যান্ড যেন নারীদের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা হয়ে ওঠে। এই দ্বীপে নারীরা নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করবেন এবং পুনর্জীবিত হবেন। এখানে কাটিয়ে যাওয়া কয়েকটা দিন তাঁদের মনোবল ও জীবনীশক্তি বাড়াবে।’
নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টিনা রথ বলেছেন, শুধু নারীদের জন্য দ্বীপ বানালেও পুরুষদের কিন্তু ঘৃণা করেন না তিনি। ক্রিস্টিনা বলেন, ‘আমি পুরুষদের ভালোবাসি। নারীদের নিজেদের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন থেকেই সুপারশি আইল্যান্ড তৈরির ধারণাটি এসেছিল। নারীরা যখন একটু আয়েশ করতে চান বা চিন্তামুক্ত থাকতে চান, তাতে বাগড়া দিতে পারে পুরুষদের সঙ্গ।’
সুপারশি আইল্যান্ডে মোট চারটি কেবিন আছে। এতে থাকতে পারবেন ১০ জন নারী। এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, এই দ্বীপে পাঁচ দিন থাকলে খরচ হবে তিন থেকে ছয় হাজার ডলার।
তবে হ্যাঁ। এই দ্বীপের টিকিট কাটার আগে সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ভুলবেন না। স্কাইপের মাধ্যমে ইন্টারনেটে দিতে হবে সাক্ষাৎকার। এরপরই দ্বীপে ঢোকার অনুমতি মিলবে!