নতুন ইঞ্জিন, বগি ক্রয় ও পরিবেশবান্ধব সেবা নিশ্চিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৩৬ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরিচালনা পর্ষদ।
নতুন অনুমোদন হওয়া ঋণে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হবে ৪০টি নতুন ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন), ১২৫টি লাগেজ ভ্যান এবং মালবাহী ট্রেনের জন্য এক হাজার ওয়াগন।
এই ঋণে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ এবং তথ্যপ্রযু্ক্তির ব্যবহার বাড়ানোরও উদ্যোগে নেয়া হবে।
মোট ৪৫ কোটি ৩৩ লাখ ডলার ব্যয়ের এই প্রকল্পের জন্য ৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের জুনে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবহন বিশেষজ্ঞ সুনেয়ুকি সাকায়ি বুধবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, রেলওয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে সুলভে, নিরপাদে এবং তুলনামূলকভাবে কম জ্বালানি খরচে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টির ভালো সম্ভাবনা থাকলেও বিনিয়োগের অভাব আর জরাজীর্ণ বাহনের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
‘এডিবির রেলওয়ে রোলিং স্টক অপারেশনস ইম্প্রুভমেন্ট প্রোজেক্টের আওতায় নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং পরিবেশবান্ধব কর্মপদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মদক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হবে’, বলেন সুনেয়ুকি সাকায়ি।
বিবৃতিতে বলা হয়, পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে এক সময় একচেটিয়াভাবে রেলওয়ের প্রাধান্য থাকলেও অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ না হওয়ায় এবং বহু পুরনো বাহনের কারণে বাংলাদেশে রেলের ব্যবসা পড়ে যায়।
২০০৬ সালে রেলওয়ে ইম্প্রুভমেন্ট প্রোজেক্ট চালু করার পর এডিবি এ পর্যন্ত চার দফায় ২৮১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশকে।