• শ্রীদেবী অভিনয় করেছেন ১২৬টি ছবিতে।
• হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও কান্নাড়া ভাষার ছবিতে অভিনয় করেন।
• সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘মম’ ছবিতে।
একসময় বলিউডে রাজত্ব করেছিলেন শ্রীদেবী। অভিনয় আর নাচ দিয়ে গত শতকের আশি আর নব্বই দশকের হিন্দি ছবির দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন। ‘সোলা শাওন’ ছবি দিয়ে শ্রীদেবীর বলিউডে অভিষেক হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। ‘জুলি’ ছবিতে যখন তিনি অভিনয় করেন, তখন তিনি ছিলেন শিশুশিল্পী। তবে নায়িকা হয়ে অভিনয়জীবন শুরু করেন ১৯৭৯ সালে। তামিল ভাষার ওই ছবির নাম ‘ষোলওয়া শাওন’। তবে শ্রীদেবী ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান ‘হিম্মতওয়ালা’ ছবিটি মুক্তির পর। ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। এই ছবিতে শ্রীদেবী অভিনয় করেন জিতেন্দ্রর সঙ্গে।
শ্রীদেবীকে ২০১৩ সালে পদ্মশ্রী সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনি ছয়বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন আরও আটবার। পেয়েছেন জি সিনে অ্যাওয়ার্ডস, বিগ স্টার এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস, তামিলনাড়ু স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসসহ বিভিন্ন পুরস্কার।
বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী শ্রীদেবী আর নেই। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুবাইয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৪ বছর।
শ্রীদেবী অভিনয় করেছেন ১২৬টি ছবিতে। হিন্দির পাশাপাশি তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও কান্নাড়া ভাষার ছবিতে অভিনয় করেন শ্রীদেবী। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘মম’ ছবিতে।
শ্রীদেবী অভিনীত সেরা ১০টি ছবির আলোকচিত্র দেওয়া হলো এখানে। বলিউড বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রীদেবী অভিনীত সেরা ছবি ‘সদ্মা’। এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ‘নেহালতা’। ছবিতে কমল হাসানের সঙ্গে অভিনয় করেন শ্রীদেবী। ওই বছর ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
শ্রীদেবীর দ্বিতীয় সেরা ছবি ‘নাগিনা’। হরমেশ মালহোত্রার এই ছবিতে শ্রীদেবী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে তাঁর নাচ এখনো দর্শকদের মুগ্ধ করে।
শ্রীদেবীর তৃতীয় সেরা ছবি ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’। এই ছবিতে অনিল কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেন শ্রীদেবী। ছবির ‘হাওয়া হাওয়াই’ আর ‘কাটে নেহি কাট তে’ গান দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল।
যশ চোপড়ার ‘চাঁদনি’ ছবিতে শ্রীদেবী অভিনয় করেন বিনোদ খান্না আর ঋষি কাপুরের সঙ্গে। এই ছবির জন্য বলিউডে তিনি শীর্ষ নায়িকার সম্মান পান। ‘চাঁদনি’ শ্রীদেবীর চতুর্থ সেরা ছবি।
‘চালবাজ’ ছবিতে শ্রীদেবী দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন। তাদের একজন ভদ্র-নম্র অঞ্জু আর অন্যজন খুবই দুরন্ত মঞ্জু। শ্রীদেবী তাঁর পঞ্চম সেরা এই ছবির জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা নায়িকার পুরস্কার পান।
‘লামহে’ ছবিতেও দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন শ্রীদেবী। একজন মা আর অন্যজন মেয়ে। যশ চোপড়ার এই ছবিতে শ্রীদেবীর বিপরীতে ছিলেন অনিল কাপুর। এখানে শ্রীদেবীর অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়। সেরা ষষ্ঠ ছবি ‘লামহে’ শ্রীদেবীকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।
অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘খুদা গাওয়া’ শ্রীদেবীর সেরা সপ্তম ছবি। শ্রীদেবী আবারও মা আর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে এক আফগান নারী ছিলেন শ্রীদেবী।
অস্ট্রেলিয়ার টিভির মিনি সিরিজ ‘ব্যাংকক হিলটন’ অবলম্বনে মহেশ ভাট তৈরি করেন হিন্দি ছবি ‘গুমরাহ’। ছবিতে শ্রীদেবী একজন সংগীতশিল্পী। মাদক পাচারের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয় তাঁকে। এটি শ্রীদেবীর সেরা অষ্টম ছবি।
১৯৯৭ সালে রাজ কানওয়ার পরিচালিত ‘জুদাই’ ছবিতে শ্রীদেবী একজন লোভী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন। মধ্যবিত্ত পরিবার। ধনী হওয়ার স্বপ্ন তাঁর। প্রচুর অর্থ পাওয়ার লোভে স্বামীকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের মালিককে বিয়ে করার অনুমতি দেন। এই ছবির পর বাস্তব জীবনে স্বামী আর সন্তান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন শ্রীদেবী। ‘জুদাই’ শ্রীদেবী সেরা নবম ছবি।
শ্রীদেবীর সেরা ১০ নম্বর ছবি ‘ইংলিশ ভিংলিশ’। ১৫ বছর বিরতির পর এই ছবি দিয়ে বড় পর্দায় ফিরে আসেন শ্রীদেবী। ছবিতে শ্রীদেবী একজন গৃহবধূ। ইংরেজি মোটেই বলতে পারেন না। এর জন্য স্বামী আর সন্তানদের কাছে প্রায়ই কথা শুনতে হয়। এদিকে পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিদেশে যেতে হয়। সেখানে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ইংরেজিতে কথা বলার কোর্স করেন তিনি। ছবিটি দারুণ ব্যবসাসফল হয়। এই ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান শ্রীদেবী।