বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র কাছে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার লন্ডনের স্থানীয় সময় বেলা ২টার দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘টেন ডাউনিং স্ট্রিট’-এর এক কর্মকর্তার হাতে চিঠি পৌঁছে দেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা।
খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান প্রায় ১০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে আছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ার পর তারেক রহমান লন্ডনে বসেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিযুক্ত সাংগঠনিক প্যাডে লেখা এ চিঠিতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, তারেক রহমান বাংলাদেশের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দুটি মামলায় তার কারাদণ্ডের পাশাপাশি আর্থিক জরিমানা হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে অবস্থান করার মাধ্যমে তারেক রহমান তাঁর অপরাধের সাজা এড়িয়ে যাচ্ছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যে হামলা চালিয়েছে, সেটি তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে। তারেক রহমানকে পলাতক আসামি উল্লেখ করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানও জানানো হয় চিঠিতে।
যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে এ চিঠি দেওয়া হয়।
সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে বাংলাদেশের শান্তি বিনষ্টে লিপ্ত। তাঁর নির্দেশে লন্ডনের হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাই যুক্তরাজ্য সরকার দ্রুত তারেক রহমানকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিক।
এক প্রশ্নের জবাবে সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার নিজস্ব গতিতে কাজ করছে। আমরা যুক্তরাজ্যপ্রবাসী হিসেবে তারেক রহমানের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারকে অবহিত করা দায়িত্ব বলে মনে করি। কারণ দণ্ডিত আসামি তারেক রহমানকে সাজা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্য যে আইনের শাসনে বিশ্বাস করে তার প্রতি সাংঘর্ষিক।