ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ও তিন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (ডিএমডি) পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে। তারা হলেন- এএমডি মো. শামসুজ্জামান, ডিএমডি হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া এফসিএ, আব্দুস সাদেক ভূঁইয়া, মোহাম্মদ মোহন মিয়া ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসইভিপি) আমিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরাস্তু খান বলেন, তাদের অপসারণ করা হয়নি। তারা সবাই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। আমি তিনজন এএমডি, ডিএমডিসহ পাঁচজনের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। তারা নিজেরাই পদত্যাগ করেছেন। কোনো চাপ দিয়ে কাউকে পদত্যাগ করানো হয়নি।
তিনি বলেন, নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালককের (এমডি) সঙ্গে তাদের কাজের সমস্যা হচ্ছে। তারা এমডির পছন্দের না। এছাড়া তাদের কাজের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে তারা নিজেরাই পদত্যাগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিচালনা পর্ষদ চাপ সৃষ্টি করে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। এসইভিপি ছাড়া বাকি সবার চুক্তির মেয়াদ ছিল এক বছর। এদের মধ্যে দুজন গত বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) পদ্যত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার বাকি তিন ডিএমডিকে পদত্যাগ করতে বলা হলে তারা পদত্যাগ করেন।
এদিকে গত ৫ জানুয়ারি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের রদবদল ঘটে। ওই দিন রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দিনভর অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ব্যাংকটির পর্ষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে জামায়াত-সমর্থিতদের সরিয়ে দেয়া হয়।
বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ার কিনে ব্যাংকটিতে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে চট্টগ্রামভিত্তিক দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি শিল্প গ্রুপ। এরপর ধাপে ধাপে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনায় রদবদল ঘটানো হয়। নিজেদের পছন্দের লোকদের বসানো হয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে। পরিচালক পদেও কয়েক দফায় পরিবর্তন আনা হয়।