চলছে গরম। সামনে পহেলা বৈশাখ, রোজার ঈদ, বিশ্বকাপ ফুটবল আর কোরবানীর ঈদ। এসব উপলক্ষ্য সামনে রেখে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন বাজারে নিয়ে এসেছে শতাধিক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রস্ট ও নন-ফ্রস্ট এবং টেম্পারড গ্লাস ডোর ও ডিজিটাল ডিসপ্লে’র ফ্রিজ। রয়েছে স্মার্ট এবং‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং ফ্রিজ।
উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবাকে অন-লাইন কার্যক্রমের আওতায় আনতে দেশব্যাপী আবারো ডিজিটাল ক্যাম্পেইন শুরু করেছে ওয়ালটন। এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ক্রেতারা প্রতিদিন ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে তা রেজিস্ট্রেশন করলেই পেতে পারেন ওয়ালটনের ফ্রিজ, টিভি অথবা এসি সম্পূর্ণ ফ্রি কিম্বা আমেরিকা ও রাশিয়া ভ্রমনের সুযোগ। ওইসব সুবিধা না পেলেও মিলবে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।
ওয়ালটনের ফ্রিজ সেলস বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, তারা বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছেন বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তির ফ্রিজ। এর মধ্যে রয়েছে ৮৬ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ, ৩১ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ ও ১৪ মডেলের ডিপ ফ্রিজ। এর মধ্যে নতুন এসেছে প্রায় অর্ধ-শত মডেলের ফ্রিজ।
তারা আরো জানান, চলতি বছর ফ্রস্ট ফ্রিজে ৩৫ টি নতুন মডেল যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে টেম্পারড গ্লাস ডোরের নতুন মডেল ১৫টি। এগুলোর দাম পড়ছে ২৪ হাজার ৫’শ টাকা থেকে ৩৬ হাজার ৮’শ টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি, ছোট পরিবার কিম্বা ব্যাচেলরদের ব্যাবহার উপযোগী ৫০ লিটার ও ১০৭ লিটার ধারণক্ষমতার দুটি নতুন মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। এগুলোর দাম ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ৯’শ টাকা ও ১৪ হাজার ২’শ টাকা। আরো এসেছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বিএসটিআই’র ‘ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং’ সনদ প্রাপ্ত ২৫৪ লিটারের ফ্রস্ট ফ্রিজ।
ওয়ালটনের ৩১ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে নতুন যুক্ত হয়েছে ৮ টি মডেল। এর মধ্যে আছে তিন-দরজা বিশিষ্ট ৪৫৫ লিটার ও ৪৫২ লিটারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির দুটি নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। আরো আছে সাইড বাই সাইড বা পাশাপাশি দুই দরজা’র ৫০১ লিটারের রেফ্রিজারেটর, ৩২৮ লিটারের ডিজিটাল ডিসপ্লে ও ফাইভ স্টার সনদ প্রাপ্ত ৩২৮ লিটারের দুটি নতুন মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর।
রেফ্রিজারেটরের পাশাপাশি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের রয়েছে ১৪ মডেলের ডিপ ফ্রিজ বা ফ্রিজার। এগুলোর দাম পড়ছে ১৯ হাজার ৪’শ টাকা থেকে ৩১ হাজার ২৯০ টাকা পর্যন্ত। ডিপ ফ্রিজের মধ্যে নতুন এসেছে ৬ টি মডেল। এছাড়া আপকামিং এর তালিকায় রয়েছে ২৯ টি মডেলের ফ্রিজ।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও সেলস বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রিজওয়ানা বলেন, এ বছর বিশ্বের লেটেস্ট সব প্রযুক্তির ফ্রিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটন প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়ছে। ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার, এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির পাশাপাশি কম্প্রেসারে সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির পাশাপাশি কম্প্রেসারে দশ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এছাড়া দামে সাশ্রয়ী, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা এবং স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে গত কয়েক বছর ধরে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও সেলস বিভাগের প্রধান মো. এমদাদুল হক সরকার বলেন, এবছর স্থানীয় বাজারে ১৮ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নেয়া হয়েছে। বছরের শুরু থেকেই ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি বেশ ভালো। ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ চাহিদার সিংহভাগ পূরণে সক্ষম হবে ওয়ালটন।
সূত্রমতে, স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে উচ্চ গুণগতমান সম্পন্ন ওয়ালটন ফ্রিজ। সম্প্রতি, বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মত ফ্রিজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ রপ্তানিও শুরু করেছে ওয়ালটন।