আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে থাকা কোন্দলের কথা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানালেন তৃণমূল নেতারা। তাদের মন্তব্য, ‘আওয়ামী লীগের শত্রু আর কেউ নয়, আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ।’ শনিবার (৩০ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের ভেতরে সবুজ মাঠে বিশেষ বর্ধিত সভা ২০১৮ দ্বিতীয় পর্যায়ে এ ওয়াদা দেন তারা। সেখানে উপস্থিত হয়েছেন চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের সব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, মহানগরের অন্তর্গত কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। এই বিশেষ বর্ধিত সভায় দলসমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
কোন্দল নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সবার মতামতের ভিত্তিতেই প্রার্থী মনোনয়ন দেবো।’ এরপর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি তার কাছে ওয়াদা করেন তৃণমূলের নেতারা। দলের ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করার কথা বলেন তারা।
বিশেষ বর্ধিত সভায় এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর নিজের বক্তব্য শেষে তৃণমূল নেতাদের কথা শোনেন শেখ হাসিনা। তখন তারা স্থানীয় উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খো কো মারমা তার বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
কেউ কেউ স্থানীয় সংসদ সদস্যদের মনোনয়ন দিতে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে অনুরোধ করেন। নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার নগরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুসকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার অনুরোধ জানান।