একাই ১৪ হাজার সিমের মালিক! একটিমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে এক ব্যক্তি নিবন্ধন করেছেন ১৪ হাজার ১১৭টি সিম। আতঙ্ক আর বিষ্ময়মাখা ভঙ্গিতে এই তথ্য জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে টেলিফোন অপারেটরদের সঙ্গে সভার শুরুতেই এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
এসময় তিনি সারাদেশের বিভিন্ন অপারেটরে মোট গ্রাহক সংখ্যা ও প্রাপ্ত ডাটার তথ্য (২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) তুলে ধরেন। সে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নিবন্ধনের তথ্যও জানান।
তারানা হালিম বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রের বিপরীতে এয়ারটেল, জিপি, সিটিসেল, রবি, টেলিটক, বাংলালিংকের নিবন্ধনের চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। ৬ অপারেটরে সিম নিবন্ধনে মাত্র ৬ হাজার ১৭৯ টি পরিচয়পত্রের ব্যবহারের তথ্য। আর এর মধ্যে একটি পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম নিবন্ধন পেয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানেই শেষ নয়। এরকম আরও রয়েছে। আরেকটি এনআইডি’র বিপরীতে ১১ হাজার ৭২৮টি সিম নিবন্ধন হয়েছে। এগুলো সবই অবৈধ। এ ধরনের সিম থেকে বড় ধরনের অপরাধ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী।
সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা কোন প্রতিযোগিতায় নামিনি। শুধু সবাইকে একটি নিয়মের আওতায় আনতে চেষ্টা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, যাদের বয়স ১৮’র নিচে তাদের সিম নেওয়ারই অনুমতি নেই। তবে যদি নিতেও হয়, তাদের অভিভাবক, মা-বাবা দায়িত্ব নেবেন। তাদের পরিচয়পত্রের বিপরীতে ওই সিম নিতে হবে এবং ওই সিম দিয়ে কোন অপরাধ হলে ও সে দায়ও পরিচয়পত্রের মালিকেরই।
এ সময় মোবাইল অপারেটর প্রতিনিধিরা ছাড়াও এনআইডি প্রতিনিধি ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।