পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবসহ ৬ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে খরচ হবে ২ হাজার ৯২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

মোট খরচের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৭০ কোটি ১৪ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারি সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা খরচ করা হবে।

একনেক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।

এম এ মান্নান জানান, বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ নামে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যেই কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন অবকাঠামো চীনে তৈরি করা হচ্ছে। সেখান থেকে নিয়ে এসে বাংলাদেশে শুধু সেটিং করা হবে। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই এটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।

ব্রিফিং এ জানানো হয়, চীন সরকারের অনুদান সহায়তায় বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ১ হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের মূল খরচ ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল ৭৯৬ কোটি টাকা। এখন আবারও খরচ বাড়ছে প্রায় ৫০৭ কোটি টাকা। তবে এ পর্যায়ে বিভিন্ন নতুন নতুন কাজ যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছিল। কিন্তু এখন দুই বছর বাড়িয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

একনেকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে, মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছয়ানী-বসুরহাট-চন্দ্রগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ, এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ২৫২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এছাড়া পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর আওতায় বাস্তবায়িত খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য লিংক প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ২১৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশের ৩৭টি জেলায় সার্কিট হাউজের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, খরচ হবে ১৭০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন, খরচ হবে ৬৫৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সারাদেশের পুরাতন খাদ্য গুদাম ও আনুষাঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৩১৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।