দেশের সব ব্যাংকের ঋণের সুদহার একক অঙ্কে নামিয়ে আনা খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব হবে না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর জন্য একটু সময় প্রয়োজন। আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।ব্যাংক ঋণের হার একক অঙ্কে নামিয়ে আনা বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেন মুহিত।
সব ব্যাংক ঋণের সুদের হার এখনো এক অঙ্কে নামায়নি—সাংবাদিকেরা অর্থমন্ত্রীকে এ কথা জানালে তিনি বলেন, এটা ঠিক কথা যে নামায়নি। তবে কাজটা খুব কঠিন।
আমানতের সুদ কমে যাওয়ায় বেসরকারি ব্যাংক থেকে সরকারি ব্যাংক ও সংস্থাগুলো আমানত তুলে নিচ্ছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না। এটা তাদের ব্যবসায়ের ব্যাপার।
কিছু ব্যাংক সুদের হার একক অঙ্কে নামালেও অনেক ব্যাংকই তা করেনি। এতে ব্যাংক খাতে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে কি না, জানতে চাইলে মুহিত বলেন, না, তা হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে দেখভাল করবে।
উল্লেখ, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) গত ২০ জুন শিল্প ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি আমানতের সুদ হারও ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্তও নেয় সংগঠনটি। ১ জুলাই থেকে নতুন হার কার্যকর হওয়ার কথা।
ওই দিন বৈঠক শেষে বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ঋণের সুদ হার একক অঙ্কে নামানোর সিদ্ধান্ত কার্যকরে কোনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যর্থ হলে তার চাকরি থাকবে না।
সুদ হার কমানোর বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বৈঠকের পর কিছু ব্যাংক ঋণ ও আমানত-উভয়ের সুদহার কমালেও অন্যরা এখনো তা করেনি। এদিকে আমানতের সুদ হার কমানোয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে আমানতকারীরা তাদের আমানত তুলে নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এতে আগামিতে বড় ধরনের তারল্য সংকটের আশংকায় পড়ে গেছে ব্যাংকগুলো।