ভারত থেকে আগামী ১৫ বছরের জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৯,৮৪১.৬১ কোটি টাকা। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি অনুমোদন পেয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এর সারসংক্ষেপ শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
বিদেশে অবস্থানরত বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউসকে বলেন, দেশের বাইরে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না। তবে বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ভারত থেকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে মোট ১৫ বছর মেয়াদে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার লক্ষ্যে ক্রয়প্রস্তাব গত ৩০ মে বিদ্যুৎ বিভাগে দাখিল করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো)। এর আগে, ভারতের খোলা বাজার থেকে স্বল্প ও দীর্ঘ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ের পুনঃদরপত্র আহ্বানের বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে বাবিউকে অনুমতি দেওয়া হয় ৩০ জানুয়ারি।
অনুমোদন পাওয়ার পর বাবিউবো ভারতের আগ্রহী স্পন্সরের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার জন্য দরপ্রস্তাব আহ্বান করে। চারটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাবে অংশ নেয়। দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি ১৬ এপ্রিল নন-ফিন্যান্সিয়াল বিড মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে টাটা পাওয়ার ট্রেডিং লিমিটেড দীর্ঘমোয়দি প্রকিউরমেন্টের দরপত্রে অংশ নেয় এবং দায়িত্বশীল (রেসপন্সিভ) বলে বিবেচিত হয়।
দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি— উভয় ক্ষেত্রে সেমবিকর্প গায়ত্রি পাওয়ার লিমিটেডের দাখিল করা দর সর্বনিম্ন বিবেচিত হয়। একইসাথে বাবিউবো’র ১৭৫৮তম সাধারণ বোর্ডের সভায় মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন অনুমোদন পায় এবং সর্বনিম্ন দরদাতা এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আগামী ১৫ বছর মেয়াদে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি সম্পাদনের সিদ্ধান্ত হয়।