সরকারি গুদামে মজুত বাড়াতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করবে সরকার। রাশিয়া থেকে গম আমদানির এই প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গম আমদানির কার্যক্রমও চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে, পক্রিয়ার পুরো কার্যক্রম অনুমোদনের জন্য এর একটি সারসংক্ষেপ শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ক্রয় সংক্রান্ত গত বৈঠকে প্রস্তবাটি পাস হয়েছে। এ বিষয়ক সারসংক্ষেপ দেখে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম তা অনুমোদন দিয়েছেন।’
খাদ্যমন্ত্রী নিজেও গম আমদানিতে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করেন নেন। তিনি বলেন, ‘বাজারের চাহিদা বিবেচনায় গম আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি।’
এর আগে, গত ৪ জুলাই দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম ফজলুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে গম আমদানির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্যাকেজ-০৬-এর আওতায় খাদ্য অধিদফতর গত মাসের ১৯ তারিখে একটি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। তাতে দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল মের্সাস এগ্রো ক্রপ ইন্টারন্যাশনাল। তারাই গম আমদানি করবে।
এ সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি ভাণ্ডারে গমের মজুদ বাড়ানোর লক্ষ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির জন্য গত ১৯ জুন আন্তর্জাতিক দরপত্র (স্মারক ১৩.০১.০০০০.০৯৩.৪৬.৩৫.১৮-১১১৮) আহ্বান করা হয়। খাদ্যমন্ত্রী গম কেনার সারসংক্ষেপটি দেখে অনুমোদন করেছেন এবং ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তা উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।
জানা গেছে, দরপত্র অনুযায়ী মের্সাস এগ্রো ক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রতি মেট্রিকন টন ২৫৬ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলারে গম আমদানি করবে। দরপত্রে অংশ নেওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এই দর কিছুটা কম রয়েছে। রাশিয়া, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করার ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাব করা গমের দাম ছিল যথাক্রমে ২৬০ দশমিক ৪৭ ডলার, ২৫৮ দশমিক ৩৬ ডলার ও ২৬৫ দশমিক ৪৫ মার্কিন ডলার। দরপত্র অনুযায়ী, ৬০ শতাংশ গম চট্টগ্রাম বন্দরে এবং ৪০ শতাংশ মংলা বন্দরে সরবারাহ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।