ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ সত্য নয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রবিউল হুসাইন বলছেন, ভল্ট থেকে স্বর্ণ হেরফের হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
একটি দৈনিক পত্রিকায় আজ ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়ায় বিকেল ৫ টায় জরুরী সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাংলাংদেশ ব্যাংক।
সংবাদ সম্মেলনে রবিউল হোসেন বলেন, এটা শুল্ক গোয়েন্দার নিজস্ব রিপোর্ট। এই রিপোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো সর্ম্পক নাই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মেশিনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মেশিনের মাপের পার্থক্য হয়। এই মেশিন নিয়ে সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, যেসব স্বর্ণ নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই করার আবেদন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছিল ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি, তা হয়ে আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। ছিল ২২ ক্যারেট স্বর্ণ, হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট। ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে ভুতুড়ে কাণ্ড’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ব্যাংকের এমন চিত্র তুলে ধরে ওই দৈনিকটি।
এতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছিল ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের চাকতি ও আংটি, তা হয়ে আছে মিশ্র বা সংকর ধাতু। ছিল ২২ ক্যারেট স্বর্ণ, হয়ে গেছে ১৮ ক্যারেট।
দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ পরীক্ষা করে বেশির ভাগের ক্ষেত্রে এ অনিয়ম ধরা পড়ে।