বাড়ির আঙিনা, ছাদ, সড়ক, অফিস-আদালতের যেখানে পরিত্যক্ত জায়গা আছে, সেখানেই গাছ লাগতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বনজ, ফলজ ও ভেষজ এই তিন ধরণের গাছ লাগান। তাহলে আমরা দেশে ও পরিবেশ রক্ষা করতে পারবো। পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানোর কোনও বিকল্প নেই।
আজ বুধবার সকালে রাজধানী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাসব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশ সংরক্ষণ, সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ- দুই উদ্দেশ্য একসঙ্গে বাস্তবায়নে উদ্যোগী সরকার। যু্দ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে সারদেশে একযোগে রোপন করা হলো ৩০ লাখ গাছের চারা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় এবং দেশ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে আমরা মানুষকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করছি। সামাজিক বনায়ন গড়ে তুলতে আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যত নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ করবে। আমরা সেটা করে চলেছি। সামাজিক বনায়ন পরিবেশ রক্ষায় যেমন অবদান রাখে, তেমনি উপকারভোগীদের আর্থিক অবস্থাও পাল্টে দেয় উল্লেখ করে আরও বেশি মানুষকে এই কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সরকার প্রধান জানান, বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ এক সময় সাত থেকে নয় শতাংশে নেমে আসলেও এখন বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা ২২ শতাংশ। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ শতাংশের। নতুন নতুন চর জাগছে, এগুলোতেও যেন ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপন হয় এবং উপকূলীয় এলাকায় যেন সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি হয়, তার জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। সুন্দরবনের জন্য পদক্ষেপও তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বন রক্ষার জন্য যা যা দরকার করছি। সাগরে চর জাগছে, সুন্দরবন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা সুন্দরবনে কাজ করছে, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। অনেক জলদস্যু আমাদের কাছে সারেন্ডার করছে, তাদেরকে নগদ টাকা দিয়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।