বাংলাদেশে ২০১৮ সালে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। একই সঙ্গে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ৬.১ শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা করছে প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) এর হালনাগাদ প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে এ তথ্য তুলে ধরেছে এডিবি।
এর আগে, গত এপ্রিলে প্রকাশিত আউটলুকে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সম্পর্কে একই পূর্বাভাস দিয়েছিল এডিবি। কিন্তু সে সময় মূল্যস্ফীতি ৫.৮ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছিল।
এডিওর সর্বশেষ হালনাগাদে বলা হয়, বাংলাদেশে কৃষি খাতে প্রত্যাশার তুলনায় উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বন্যার কারণে ধান আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তা কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। কৃষকদের দ্রুত সার ও বীজ প্রদানসহ অন্যান্য সহায়তা দেয়ায় এ ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী শিল্পের ভালো অগ্রগতির প্রভাবে সামগ্রিকভাবে শিল্প খাতেও উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রচুর পরিমাণ আমদানিকৃত চালের ওপর নির্ভরশীলতা এবং বাজারে দেশের উৎপাদিত নতুন চাল কম থাকায় মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
এর আগে এপ্রিলের প্রতিবেদনে চলতি বছর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিলো যা ২০১৯ সাল নাগাদ কিছুটা কমে ৫.৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এডিবির পূর্বাভাস অনুযায়ী শিল্প সমৃদ্ধ এশিয়ার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি এবছর সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে যা আগামী বছর ৬ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুইয়োকি সাওদা এ বিষয়ে বলেন, সংরক্ষণমূলক বাণিজ্য নীতির ফলে উন্নয়নশীল এশিয়ার বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হবে। বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা এই অঞ্চলের জন্য উদ্বেগের বিষয় বলে তিনি মনে করেন।
সংরক্ষণমূলক বাণিজ্য নীতির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করছে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে চীনসহ অন্যান্য দেশও শুল্ক আরোপ করছে। এর ফলে উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনীতিতে বাণিজ্য ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।