আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইলেকশন যতই ঘনিয়ে আসবে ততই দৃশ্যপটে পরিবর্তন হবে। ইলেকশনের শিডিউল অ্যানাউন্সের পর পোলারাইজেশনটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমাদের এখানে পোলারাইজেশনটা কিভাবে হবে? সেটা দেখার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এখানে সাম্প্রদায়িকতা একটা ব্যাপার, এখানে ডিভাইসিক পলিটিক্স আছে, সেখানে পোলারাইজেশনটা কার সঙ্গে কার হবে? কিভাবে ঘটবে? এসব বিষয়ে সমীকরণটা একটা পর্যায়ে কোথায় দাঁড়াবে সেটা এখনও বলা যাবে না।
ভারত প্রীতি নিয়ে বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ভারত ভীতিটা যাদের এত প্রবল, ইলেকশন আসলে ভারত প্রীতি তাদের কেন বেড়ে যায়? যারা বছরজুড়ে ভারত ভীতিতে ভোগে ইলেকশন আসলেই তাদের ভারত প্রীতি কেন? দেশের রাজনীতিতে ভারত কাউকে ক্ষমতায় বসাবে এটা আমরা বিশ্বাস করি না। এ জন্য আমরা তোষামোদিও করি না। বিএনপির রাজনীতি ছদ্মবেশী বিদ্বেষ প্রসূত। এ নেতিবাচক রাজনীতির কারণে আগামী নির্বাচনে বিএনপির পরাজয় হবে এবং আগামী নির্বাচনে তাদের মাশুল দিতে হবে।
সিপিবি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাস্ট এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। বাসদের খালেকুজ্জামানের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছি। ফোনে কাদের সিদ্দিকী সাহেবের সঙ্গেও কথা বলেছি। ওনি গতকাল আমাকে কল করেছিলেন কিন্তু খেয়াল করতে পারিনি। আজকে তাকে কল করেছি, কথা বলেছি। এটা একটা সৌজন্যবোধের ব্যাপার। একটা ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ রাজনীতিতে থাকা উচিত।
এ সময় বিএনপির মির্জা ফখরুলের মায়ের মৃত্যুতে বিবৃতি ও ফোন করে কথা বলার বিষয়টি তুলে ধরে কাদের বলেন, রাজনীতিতে সৌজন্যবোধটা দরকার আছে। কর্নেল অলিও আমাকে ফোন করেছেন। আ স ম আব্দুর রবও ফোন করেছেন। মেজর মান্নানও করেছেন। এভাবে ফোনালাপটা থাকলে অনেক কিছুই সমাধান হয়ে যায়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতির অঙ্ক নিয়ে আলাপ করতে যাইনি। যদি কোনো আলাপ করতে যাই তাহলে আমার পার্টির সভাপতি এবং ওয়ার্কিং কমিটির সঙ্গে কথা বলে যাব। রাজনীতির কোনো বিষয়ে আলোচনা করলে, কোনো ইকুয়েশন বা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের ব্যাপার, অ্যালায়েন্সের ব্যাপারে আলাপ হলে দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া করতে পারি না।
এর আগে ওবায়দুল কাদেরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলী, কার্যনিবাহী সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ