নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভাবমূর্তি যেন সমুন্নত থাকে, সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করতেই ইসিতে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ইসি শক্তিশালী হয়েছে। এই কমিশন গঠিত হয়েছে আমাদের আমলে। ফলে আমাদের ওপর দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরা চাই, ইসির ভাবমূর্তি সমুন্নত থাকুক, আরো উঁচু হোক। এ বিষয়ে সহায়তা করতেই আমরা ইসিতে এসেছি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে আমরা আর কী কী করতে পারি, তা ইসিকে বলেছি। ইসি সরকারের আচরণে সন্তুষ্ট।
বুধবার (২৫ জুলাই) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এইচটি ইমাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ায় এর প্রতিবাদ জানিয়ে আমার সই করা চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সর্তক থাকার জন্য ইসিকে বলেছি।
এইচটি ইমাম বলেন, খুলনা ও গাজীপুর সিটির নবনির্বাচিত দুই মেয়র সিটি নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। কারণ এখনও তারা মেয়র হিসেবে শপথ নেননি। আবার শপথ নিলেও তারা কার্যভার গ্রহণ করেননি। ফলে তারা মেয়র নন। তারা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত— সেই গেজেট হয়েছে। কিন্তু তারা কার্যভার নিয়েছেন— এমন কোনো গেজেট হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি গর্ব করে বলতে পারি আমাদের নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুন্দর, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন আয়োজন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও মেসেজ দিয়েছেন, যেন প্রতিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।’
গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নিয়ে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডাব্লিউজি) বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে এইচটি ইমাম বলেন, তারা একটি কথা বলে বসলেন। তার ওপর ভিত্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্টের রাষ্টদূত যে উক্তি করেছেন, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। গাজীপুর ও খুলনায় মাত্র চার দশমিক তিন শতাংশ ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। গাজীপুরে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ভোটারের মধ্যে মাত্র ২ জন ভোটার ভোট দিতে পারেননি। আবার এই দুই সিটি নির্বাচনে কোনো ধরনের সহিংসতাও হয়নি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। তারপরও একটি দল এসব কিছু নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে।
এর আগে, আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিকেল ৪টা থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত সিইসি মো. নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে এইচটি ইমামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার, নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চোধুরী, কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন— আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. রাশেদুল আলম ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার।