অল্পের জন্য সিরিজ জেতা হলো না বাংলাদেশের। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে দিনরাতের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা কঠিনই ছিল। সিরিজ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গড়া ২৭২ রান টপকে যেতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু অল্পের জন্য সেটি হলো না। তীরে এসেই তরি ডুবেছে দলের। ৩ রানে হেরে সিরিজ জয়টা বিলম্বিতই হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। কিন্তু উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের ওভারটি থেকে ৫ রানের বেশি নিতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। অথচ ম্যাচটা এর আগে পুরোপুরিই ছিল বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে।
২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে ঠিক পথেই ছিল বাংলাদেশ। এর আগে ওপেনার এনামুল হক ৯ বলে ২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে শুরুটা করে দিয়ে যান। ফিফটি পেয়েছেন সাকিব, তামিম দুজনই। ৯৭ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ২৫তম ওভারে তামিম ফেরেন দেবেন্দ্র বিশুর বলে শাই হোপের স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে। দলীয় রান তখন ১২৯। সাকিব আউট হন নার্সের বলে ৫৬ রানে।
মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ মিলে এরপর আশা জাগান আবারও। ৮৭ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। মাহমুদউল্লাহ ৩৯ রানে রানআউট হলেও মুশফিক লড়াইটা জারি রেখেছিলেন শেষ ওভার পর্যন্তই। শেষ ওভারের প্রথম বলে ৬৭ বলে ৬৮ রান করে মুশফিক আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মূলত দূরে সরে যায় ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা। এর আগে ১১ বলে ১২ রান করে আউট হন সাব্বির রহমান।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনকে রীতিমতো উইকেটে বেঁধে রাখেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক হোল্ডার। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ ওভারে ৫ রানের বেশি নিতে পারেননি মোসাদ্দেক-মাশরাফি।
এর আগে ‘লোকাল হিরো’ শিমরন হেটমায়ার গায়ানিজদের হতাশ করেননি। পার্টি স্ট্যান্ডে গানের তালে নেচে ওঠার উপলক্ষ তিনিই এনে দিয়েছেন। হেটমায়ারের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে পায় ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। শেষ ৫৭ বলে ৬ উইকেট পড়লেও এ সময়ে যোগ হয় ৮৯ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে ৬১ রানে ৩ উইকেট নেন রুবেল হোসেন। সাকিব আর মোস্তাফিজুর রহমান নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ।