পাকিস্তানের ১১তম সাধারণ নির্বাচন শেষ হয়েছে কাল বুধবার (২৫ জুলাই)। কিন্তু এখনও চলছে ভোট গণনা। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পরও চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডন’ জানাচ্ছে, বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলে এগিয়ে থেকে এরইমধ্যে বিজয় উদযাপন শুরু করেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত অনানুষ্ঠানিক ফলাফলকে উদ্ধৃত করে ডন জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৭ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের (এনএ) ১১৪ আসনে এগিয়ে রয়েছে পিটিআই। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) এগিয়ে রয়েছে মাত্র ৬৪টি আসনে। এছাড়া ৪২ টি আসনে এগিয়ে থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছেন। মুত্তাহিদা মজলিশ আমল (এমএমএ) এগিয়ে রয়েছে ৯ টি আসনে ও গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (জিডিএ) এগিয়ে আছে ৭টি আসনে।
চরম অনিশ্চয়তার এ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছে নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন ও বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি। ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের অবস্থান করতে দেওয়া হয়নি ও ভোট গণনার পর তাদের ফলও জানানো হয়নি, এমন অভিযোগ তুলে টুইট করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)’র সভাপতি শাহবাজ শরিফ। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর ও ক্ষমার অযোগ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন পিপিপির চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, সাধারণ নির্বাচনে ২৭২টি আসনের বিপরীতে ৩ হাজার চারশো ৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাদের মধ্যে পাঞ্জাব থেকে ১ হাজার ৬১৩ জন, সিন্ধু থেকে ৮২৪ জন, খাইবার পখতুনখাওয়া থেকে ৭২৫ জন এবং বেলুচিস্তান থেকে ২৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট ৩৪২ আসনের মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। বাকি ৭০ টি আসন নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। কোনো দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ২৭২ আসনের মধ্যে ১৩৭ আসনে জিততে হবে।