বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাপানের ওসাকা রাজ্য টেক্সটাইল হাব হিসেবে বিশ^ব্যাপী ব্যাপক ভাবে পরিচিত। ওসাকার টেক্সটাইল ব্যবসায়ীগণ এ বিষয়ে বেশ দক্ষ। ওসাকার টেক্সটাইল খাতের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে অধিক লাভবান হবেন। বাংলাদেশে টেক্সটাইল সেক্টরে অনেক শিক্ষিত ও দক্ষ সহজলভ্য জনবল রয়েছে, বিনিয়োগের জন্য সকল প্রকাল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে অতিঅল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও বিশেষ সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন উপযুক্ত এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। আগ্রহী দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের এসব ইকোনমিক জোন বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। এ গুলোর উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ এখন বাংলাদেশে শতভাগ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন, বিনিয়োগকারীগণ যে কোন সময় লাভসহ বিনিয়োগকৃত অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। বাংলাদেশ সরকার আইন প্রনয়ন করে বিনিযোগকারীদের সার্থ সুরক্ষা করেছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা জানি জাপানের ওসাকা নগরীতে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। ওসাকা রাজ্যের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বিশে^র মধ্যে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান। ইতোমধ্যে বিশে^র অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। জাপানের ওসাকা রাজ্যের বিনিয়োগকারীগণও এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।
জাপানে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল(২৫ জুলাই স্থানীয় সময় বিকেলে) জাপানের ওসাকা রাজ্যের গভর্নর ইচহিরো মাতসুই এর সাথে একান্ত বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী ওসাকার গভর্নরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীর জাপানী ভাষায় অনুবাদ করা একটি কপি হস্তান্তর করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী ওসাকার গভর্নরকে সেখানকার টেক্সটাইল সেক্টরের বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে গভর্নর ইচহিরো মাতসুই ওসাকার টেক্সটাইল ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। সুবিধাজনক সময়ে গভর্নর ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাংলাদেশ সফর করবেন। তিনি বাংলাদেশে উন্নয়নের বিষয়ে আগ্রহ ভরে জানতে চান। বাণিজ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। গভর্নর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি জাপানে ঘটে যাওয়া বন্যা ও ভূমি ধসের জাপানীদের প্রাণহানীতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতেমা, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন।