পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশে ঔষুধ উৎপাদন ও এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করেছে।
গতকাল বিকালে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কোম্পানিটি জানায়, বাংলাদেশে ঔষধ উৎপাদন ও এর ব্যবসা বন্ধ করা হয়েছে। এর জন্য শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন পেতে বিশেষ সাধারণ সভা করা হবে।
তারা আরো জানায়, ঔষধ ব্যবসা বন্ধ করলেও কোম্পানির কনজ্যুমার হেলথকেয়ারের ব্যবসা চলবে। ঔষধের ব্যবসা বন্ধের কোন প্রভাব কনজ্যুমারের ব্যবসায় পড়বে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করায় তাৎক্ষণিকভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রায় ৬০০ শ্রমিক-কর্মকর্তা কারখানায় বিক্ষোভ করেন। তারা গ্ল্যাক্সোর রিজিওনাল হেড রাজু কৃষ্ণ এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান লোকমান হোসেইনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত। এ সময় গেটের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, অর্ধশত বছরের পুরনো এই কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে পূর্বে কোনো আলোচনা করেনি। হঠাৎ করেই আজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম জানান, গ্ল্যাক্সোস্মিথের সাবেক এমডি পাকিস্তানি নাগরিক এনাম আহমদ। তার পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ ছাড়াই কারখানাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলে আসছে। কখনো এই প্রতিষ্ঠানকে লোকসানের মুখে পড়তে হয়নি। শ্রমিকরা আন্তরিকতার সঙ্গে দিন-রাত পরিশ্রম করে প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক হিসেবে টিকিয়ে রেখেছেন। কিন্তু, পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের শিকার হলো কারখানাটি।