চাহিদার মাত্র ২৪% অর্থ পেয়েছে আইওএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আপডেট: ২০১৮-০৭-২৮ ১০:৫০:১৪
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য মোট ১৮ কোটি ২১ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহের আবেদন জানিয়েছিল জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। এখন পর্যন্ত এর মধ্যে মাত্র ২৪ শতাংশ জোগাড় করতে পেরেছে সংস্থাটি। সংস্থাটির গতকাল প্রকাশিত এক সাপ্তাহিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্যও জানা যায়।
২০-২৬ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত কার্যক্রমের ভিত্তিতে আইওএম গতকাল ‘আইওএম বাংলাদেশ: রোহিঙ্গা হিউম্যানিটারিয়ান ক্রাইসিস রেসপন্স— এক্সটারনাল আপডেট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত যেসব খাতে বরাদ্দের জন্য তহবিল সংগ্রহের আবেদন জানিয়েছিল আইওএম, তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে আছে বিকল্প জ্বালানি, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও পয়োনিষ্কাশন, জরুরি সহায়তা সেবা খাত। এসব খাতের প্রতিটিতেই তহবিল ঘাটতি ৮০ শতাংশের বেশি।
এছাড়া সাইট ব্যবস্থাপনা, সাইট উন্নয়ন ও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশল খাতেও প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত সহায়তা করা না গেলে সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে বসবাসরত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জীবন সংশয়ের মুখে পড়বে।
বর্ষা মৌসুমে এরই মধ্যে ছোটখাটো নানা মাত্রার দুর্যোগের শিকার হয়েছে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা। আইওএমের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ভূমিক্ষয় বা ভূমিধস, জলাবদ্ধতা, অতিরিক্ত বায়ুপ্রবাহ, বজ্রপাত ও বন্যাসহ মোট ৪৬৩টি দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার কথা জানা গেছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৯৭১টি খানার মোট ৪০ হাজার ১৮৪ জন ব্যক্তি নানা মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে গতকাল প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আইওএম জানায়, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার পথে এখন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মৌসুমি বৃষ্টিপাত। সংস্থাটির স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনো কোনো জায়গায় কোমর পানি পার হয়ে অসুস্থদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে হয়েছে। এছাড়া ভূমি পরিস্থিতি ভয়াবহ মাত্রায় খারাপ হওয়ার কারণে মেডিকেল ফ্যাসিলিটিগুলো চালু রাখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।