ডিবির সন্দেহের তীর আনসারুল্লা বাংলা টিমের দিকে
প্রকাশ: ২০১৫-১১-০১ ১৭:০৪:৫০
রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিনকে হত্যা এবং লালমাটিয়ায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা নিষিদ্ধঘোষিত আনসারুল্লা বাংলা টিমের ঘরানার কাজ। এমন দাবি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলামের।
রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, একই ছাতার নিচ থেকে প্রশিক্ষিত হয়ে হামলাকারীরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে ঘটনা দুটি ঘটিয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আগে ব্লগার হত্যা করা হতো। গতকালের হামলার নতুন দিক হলো, প্রকাশকের ওপর হামলা। কোনো ব্লগার যেকোনো ধরনের হামলার হুমকি পেলে তা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।
শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুলের থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার ব্যাপারে করা এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, টুটুল গত মার্চে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ হুমকির ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছে। তিনি যখন নিরাপত্তা চেয়েছেন, নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
হামলার ধরনের ব্যাপারে ডিবির এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, এগুলো টার্গেট কিলিং ও হামলার ঘটনা। হামলার ধরন একই, একই সময়ে ঘটানো হয়েছে। হামলাকারীরা একই স্থান থেকে প্রশিক্ষিত হয়েছে। তবে, তারা পেশাদার নয়।
হামলাকারীদের পেশাদার না বলার পেছনে এই পুলিশ কর্মকর্তার যুক্তি, লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বরের কার্যালয় থেকে পিস্তলের দুটি তাজা গুলি ও একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো দেশীয় পিস্তলের গুলি। আর হামলাকারীরা পেশাদার হলে গুলি চালানোর সময় তাজা গুলি পড়ে থাকার কথা নয়।
কীভাবে হামলা ঠেকানো যেতে পারে—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলামের আশাবাদ, পুলিশে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গঠন করা হলে এমন হামলার ঘটনা কমে আসবে।