রাজশাহী ও মুন্সীগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ও রোববার ভোরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে র্যাব। এ ঘটনায় দুই র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন।
রাজশাহী নগরীতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার নবগঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। নিহতের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।
র্যাবের ভাষ্যমতে, নিহত ওই ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী। র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আহত হন তিনি। দ্রুত উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর এ এম আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রাজশাহী সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের একটি দল নবগঙ্গা এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় কলাবাগানের ভেতর টর্চের আলো দেখে র্যাব সদস্যরা সেদিকে এগিয়ে যায়। তখন সেখানে উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।
কয়েক মিনিট গুলি বিনিময় শেষে সবাই পালিয়ে যায়। সেখান থেকে আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ম্যাগজিন ও দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল এবং ৫৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘরা ইউনিয়নে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন (৩৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ইউনিয়নের ছত্রভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি ও ৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মহিতুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়েছিলাম ছত্রভোগ গ্রামে একটি মাদকের বড় চালান লেনদেন হবে। সেই সূত্র ধরে অভিযান পরিচালনা কালে কিছু দুর্বৃত্ত আমাদের আভিযানিক দলটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আমাদের দুই সদস্য এএসআই রেজাউল ও সিপাহি কামরুজ্জামান আহত হন। পরে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
গোলাগুলি শেষে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরবর্তীতে ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখি গুলিবিদ্ধ ওই যুবক ইউনিয়নের রুদ্রপাড়া গ্রামের ইউনুস শেখের ছেলে, মাদক ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন। সোহরাব হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি ও হত্যাচেষ্টাসহ ১৩ মামলার আসামি।