সম্প্রতি কাট্টালি টেক্সটাইলের আইপিও অনুমোদনের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পর এনিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসি বলছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫ অনুযায়ী যে কোন কোম্পানির প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে এক্সচেঞ্জের চূড়ান্ত সুপারিশ কমিশনের নিকট দাখিল করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
স্টক একচেঞ্জেসমূহ ওই সময়ের মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ দাখিল করে থাকে।
পরবর্তিতে বিএসইসি, স্টক একচেঞ্জেসমূহের সুপারিশ উল্লেখিত আপত্তিসহ অন্যান্য তথ্যের ঘাটতি থাকলে অধিকতর বিস্তারিত পর্যবেক্ষণসহ সামগ্রিক ঘাটতি পূরণকল্পে প্রমাণাদি দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী কোম্পানিকে ঘাটতি পত্র ইস্যু করে থাকে।
অতঃপর আবেদনকারী কোম্পানির তথ্য ও কাগজপত্রের যথাযথ ঘাটতি পূরণ ও যাচাই সম্পন্ন হলেই কমিশন কোন আবেদনকারী কোম্পানিকে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
উল্লেখ্য, যে সব তথ্য বা দলিল ঘাটতির কারণে ঢাকা স্টক একচেঞ্জে কাট্টালি টেক্সটাইলের আইপিওর বিপক্ষে গত ২৫ মার্চ সুপারিশ প্রদান করেছিল, তা পরবর্তীতে কোম্পানি কর্তৃক দাখিলকৃত প্রমাণাদি ও কাগজপত্রের ভিত্তিতে পূরণ হয়। পাশাপাশি কমিশন সন্তুষ্ট হয়ে ২৬ জুন ওই আইপিও অনুমোদন প্রদান করে। এমনকি চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে কাট্টালি টেক্সটাইলের আইপিওর পক্ষে চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান করে।
ফলে কাট্ট্রালি টেক্সটাইলের আইপিও প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি প্রসঙ্গে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যথাযথ নয় বলে মনে করে বিএসইসি।
গত ২৬ জুন কাট্টালি টেক্সটাইলের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৩ কোটি ৪০ লাখ সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে ইস্যু প্রস্তাব অনুমোদন করে কমিশন।
আইপিও এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩৪ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত টাকা দিয়ে কোম্পানিটি কারখানার ভবন নির্মান, কর্মচারীদের ডরমেটরি ভবন নির্মাণ, নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং গণ প্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২০ টাকা ৪৮ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৪ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এনআরবি ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।