ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ছেলে হত্যার বিচার না চাওয়ায় অবাক হয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
তিনি বলেছেন, “এটা অবাক হওয়ার বিষয়। একজন বাবা হয়ে ছেলে হত্যার বিচার চান না, একজন বাবা হিসেবে যা আমাকেও লজ্জিত করেছে।”
রবিবার বিকালে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার মঞ্চ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
হানিফ বলেন, নিহত দীপনের বাবা আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, উনি পুত্র হত্যার বিচার চান না। হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক। আমি অবাক হয়েছি। আমার মনে হয়, যারা এই খবরটি পড়েছে সবাই অবাক হয়েছে। একজন পুত্রহারা পিতা সন্তানের হত্যার বিচার চান না এটা বাংলাদেশে প্রথম। পৃথিবীতেও এমনটা আমি দেখিনি।
তিনি বলেন, এটার কারণ একটাই হতে পারে যে পুত্র হত্যা হয়েছে তার বাবা অধ্যাপক সাহেব হয়তো ওই রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেই উনি উনার দলের লোকজনদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না বলেই উনি এ ধরনের কথা বলেছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক। আমিও একজন বাবা। বাবা হিসেবে আমি নিজেও লজ্জিত তার এই বক্তব্যে।
হানিফ বলেন, দুই একটি ঘটনা দিয়ে সরকার বিব্রত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে তো বহু আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিব্রত হয়ে যেত। ওখানে তো বহু ঘটনা ঘটেছে। এটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড আমরা সব সময় বলে এসেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে একাত্তরে পরাজিত শক্তিরা এসব কাজ করছে। সরকার আর যাই করুক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে কম্প্রোমাইজ করতে পারে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আসবে এখানে। এখানে যদি কেউ নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করে তাহলে পরিণতি কত ভয়াবহ হবে সেটা তারা নিজেরাই উপলব্ধি করতে পারে। আমরা কোনো শঙ্কা প্রকাশ করছি না। আজকে যারা ব্লগার বা মুক্ত চিন্তার মানুষ হত্যা করছে এগুলোর সবকিছু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এ সমস্ত কাজ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ