বিনা সুদের ইক্যুইটি অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ফান্ডের (ইইএফ) নাম পরিবর্তন করে স্বল্পসুদের এন্টারপ্রেনারশিপ সাপোর্ট ফান্ড (ইএসএফ) করা হয়েছে। এতদিনের সমমূলধনী বিনিয়োগ এখন থেকে সুদভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
জানা গেছে, একজন উদ্যোক্তা মাত্র ২ শতাংশ সুদে মোট প্রকল্প ব্যয়ের সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ পাবেন। বিভিন্ন জালিয়াতির কারণে ইইএফ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ আগস্ট থেকে নতুন পদ্ধতিতে আবেদন নেয়া হবে। অফেরতযোগ্য পাঁচ হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করতে হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সোনালী ইনভেস্টমেন্ট ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ইইএফ এখন থেকে ইএসএফ হিসাবে বিবেচিত হবে। আগের মতোই খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষিভিত্তিক এবং আইসিটি খাতের উদ্যোক্তারা এখান থেকে সহায়তা পাবেন। সাধারণভাবে একটি প্রকল্পে ৮০ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নেয়া যাবে। তবে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং কৃষিভিত্তিক প্রকল্পটি যন্ত্রপাতিনির্ভর হলে ১২ কোটি টাকা পর্যন্ত নেয়া যাবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, আট বছর মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ শুরু হবে ৪ বছর পর থেকে। পরবর্তী চার বছরে সমান আটটি কিস্তিতে সুদসহ আসল পরিশোধ করতে হবে। মঞ্জুরিপত্র পাওয়ার এক বছরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে কোম্পানির অনুকূলে দলিলায়নসহ মূলধনী অংশের ৫১ শতাংশ বিনিয়োগ সম্পূর্ণ করতে হবে।
প্রথম কিস্তি পাওয়ার এক বছর ৬ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কিস্তি গ্রহণসহ কার্যক্রম সম্পূর্ণ করতে না পারলে মেয়াদপূর্তির আগেই সুদসহ সব ঋণ ফেরত দিতে হবে। কোনো কারণে উদ্যোক্তা কিস্তি খেলাপি হলে অতিরিক্ত ২ শতাংশ হারে দণ্ডসুদ আরোপ হবে।