ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পশুরহাট ও শপিং মলগুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অজ্ঞান, মলম পার্টি ও জাল টাকার কারবারিরা। তবে এসব অপরাধ ঠেকাতে আগেভাগেই মাঠে নেমেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ৫৭ সদস্য ও আটজন জাল টাকা কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ৭৫ লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট ও বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ওষুধ উদ্ধার করা হয়। শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডিবি পুলিশ শ্যামপুর, জুরাইন, সায়েদাবাদ ও নিউমার্কেট থেকে ২৬ জন এবং সিরিয়াস ক্রাইম টিম গুলিস্তান, নিউমার্কেট ও শাহবাগ থেকে অজ্ঞান ও মলম পার্টির ৩১ জনকে গ্রেফতার করে। এ ছাড়া পৃথক অভিযানে লালবাগ থেকে জাল টাকা তৈরি চক্রের আট সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা কয়েকভাগে কাজ করে। প্রথমে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তার সঙ্গে কৌশলে সখ্য গড়ে তোলে। আশপাশে থাকা চক্রের অন্য সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে চেতনানাশক ওষুধ মিশ্রিত খাবার খাইয়ে দেয়। পরে তার সর্বস্ব লুটে নেয় তারা। গণপরিবহনে যাতায়াত এবং ফুটপাত বা হকারের কাছ থেকে খাবার কেনা বা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, শুধু ঈদ নয়, বছরজুড়েই তৎপর থাকে জাল টাকার কারবারিরা। ঈদকে সামনে রেখে জাল টাকা তৈরির সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৩০ লাখ টাকা মার্কেটে ছড়িয়েছে। এক লাখ জাল টাকা তৈরিতে তাদের খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। এই এক লাখ টাকা পাইকারি বিক্রি হয় ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা কেনে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়।