অধিক তাপমাত্রার কারণে মক্কার মিনায় আজ (রোববার) দিনভর প্রচণ্ড গরম থাকলেও হঠাৎ সন্ধ্যার আগে প্রবল ধূলিঝড় শুরু হয়। এ সময় মিনা ময়দানের তাবুতে অবস্থানরত লাখো হাজিদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
হাজিরা সমস্বরে সূরা কেরাত পড়তে শুরু করে। ধূলিঝড়ের ধূলি কণা তাবুতেও ঝাপটে পড়ে। দিনভর কাঠ ফাটা রোদের পর বিকেলে আকাশ মেঘলা হলে হাজিরা বাইরে ঘুরতে বেড়ায়। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় দিকে ধূলিঝড় শুরু হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, রাস্তা অনেকটা ফাঁকা। রাস্তায় ধূলিঝড়ে চারদিক ধুলোয় অন্ধকার। এরই মাঝে কেউ কেউ সাহস করে বাইরে বের হয়।
আগামীকাল সোমবার (২০ আগস্ট) ফজরসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পর তারা যাবেন মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত আরাফাতের ময়দানের দিকে।
আরাফাতে যাওয়ার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে মুসল্লিরা পায়ে হেঁটে, হুইল চেয়ারে, বাসে, যে যেভাবে পারেন পৌঁছাবেন। সবার শরীর সাদা কাপড়ে ঢাকা থাকবে। তাদের ‘লাব্বায়েক আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে আরাফাতের ময়দান। আরাফাতের ময়দান থেকে মুসল্লিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই রওনা দেবেন মুজদালিফার দিকে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন তারা। এখানে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন তারা। তারপর মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকালে ফজরের নামাজ শেষে হাজিরা আবার ফিরে আসবেন মিনায়। বুধবার (২২ আগস্ট) সকালে জামারাতে পাথর নিক্ষেপ ও পশু কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম ত্যাগ করবেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফ করে হজের পূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন হাজিরা।
এ বছর হজযাত্রী ও হজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ২৭৫ জন সৌদি আবর গেছেন। হজ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হয় গত ১৪ জুলাই। বিমানের হজ ফ্লাইট শেষ হয় গত বুধবার।
পবিত্র হজ পালিত হবে আগামী ২০ আগস্ট। ফিরতি হজ ফ্লাইট আগামী ২৭ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।