বিএসইসির অনুমোদনের অপেক্ষায় ৫ কোম্পানির রাইট

নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৮-০৮-২৭ ১৯:৫৯:১১


পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ৫টি কোম্পানি রাইট শেয়ারের মাধ্যমে মূলধন বাড়াতে চায়। কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের আলোকে বিশেষ সভায় অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন স্বাপেক্ষে কোম্পানিগুলো বাজার থেকে টাকা তুলতে পারবে।
বিএসইসিতে রাইটের আবেদন জমা থাকা কোম্পানিগুলো হলো- রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস,আইপিডিসি, ওয়েস্টার্ন মেরিন, ড্রাগন সোয়েটার ও এবি ব্যাংক লিমিটেড।
এর মধ্যে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড তিনটি শেয়ারের বিপরীতে ২টি রাইট ছাড়তে চায়। এ জন্য কোম্পানিটি ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ১০ টাকা প্রিমিয়ামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে কোম্পানিটির ৩৫৪তম সভায় ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ১৫ টাকা প্রিমিয়ামের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
অন্যদিকে আর্থিক খাতের কোম্পানি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড ১ঃ২ হারে অর্থাৎ প্রতি দুটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। পর্ষদ সভায় রাইট শেয়ারের জন্য শেয়ার প্রতি ৩ টাকা প্রিমিয়াম নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের দাম পড়বে ১৩ টাকা। ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, মূলধনভিত্তি জোরালো করা এবং মূলধন পর্যাপ্ততার শর্ত পূরণের লক্ষ্যে রাইট শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড ১:১ হারে অর্থাৎ ১টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১টি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সাথে ৫ টাকা প্রিমিয়াম। কোম্পানিটি তার ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিএমআরই এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে চায়।
আর ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড ৩:২ অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। অর্থাৎ ৩টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ২টা রাইটের জন্য আবেদন করা যাবে। মূলত রাইট শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে কোম্পানিটি তার পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি কোম্পানির চলমান প্রকল্পটির সম্প্রসারণ করবে। রাইট ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৮৮ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬ টাকা উত্তোলন করবে। আর এর জন্য কোম্পানিটির ৮ কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৭টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করতে হবে। প্রতিটি শেয়ারের ইস্যু মূল্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোম্পানির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৬ সালে। কোম্পানির মোট শেয়ার রয়েছে ১৩ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৩৭.৮৪ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার।
অন্যদিকে এবি ব্যাংক লিমিটেড ১০ টাকা ফেসভ্যালুতেই রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। ব্যাংকটি প্রতিটি ৫টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ৪টি রাইট শেয়ার ইস্যু করবে। উল্লেখ্য, এবি ব্যাংক রাইট ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১২১৩ কোটি টাকায় উন্নীত করবে। এর জন্য ৫৩ কোটি ৯১ লাখ নতুন শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি।