এমডির পদত্যাগে বেসিক ব্যাংক সঙ্কটে পড়বে না : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-০৮-২৮ ২০:২৪:০৭


ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ আউয়াল খানের পদত্যাগে বেসিক ব্যাংক নতুন করে সঙ্কটে পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ব্যাংকটিতে এমনিতেই সমস্যা রয়েছে এর মধ্যে এমডির পদত্যাগে একটা নেগেটিভ বার্তা আসছে কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না পদত্যাগের জন্য ব্যাংকটির কোনো সমস্যা হবে না। পদত্যাগের বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। এতে আমি মোটেও বিচলিত নই।’

চেয়ারম্যান- এমডির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন এমন প্রশ্নে মুহিত বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমি চেয়ারম্যানকে কিছু জিজ্ঞাসাও করিনি। এমডির পদত্যাগের বিষয়টি খবরের কাগজ থেকেই জেনেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না।’

 

বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ আউয়াল খান গত ১৪ আগস্ট পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে তিনি শারীরিক অসুস্থতা ও ব্যক্তিগত বিষয়ের কথা উল্লেখ করছেন। যোগদানের ১০ মাসের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি।

পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ বলেন, এমডির পদত্যাগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি ৩০ আগস্ট পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থাপন করা হবে।

ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঋণ অনুমোদন এবং কিছু ঋণ পুনঃতফসিলের মতো ব্যাংক ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পেরে তিনি পদত্যাগ করেছেন।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, সুদহার কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে চলতি বছর বেসিক ব্যাংক ৮০-৯০ কোটি টাকা লোকসান করবে- এমন পরিস্থিতি বুঝেই সমালোচনা এড়াতে আগেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, মুহাম্মদ আউয়াল খান ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর বেসিক ব্যাংকে এমডি হিসেবে যোগ দেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাকে তিন বছরের জন্য এ পদে তাকে নিয়োগ দেয়। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত চার বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের লোকসান হয়েছে দুই হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। ব্যাংকটির ৬৮ শাখার মধ্যে ২১টি শাখাই লোকসান গুনছে। ২০০৯-১৩ সাল পর্যন্ত শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর আমলের চার বছরে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতি হয় চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

বর্তমানে ব্যাংকটির দেয়া ঋণের ৫৯ দশমিক ২২ শতাংশই খেলাপি। এখন তাদের মোট খেলাপি ঋণ আট হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা।