মালয়েশিয়ায় সাড়াশি অভিযানে ৫ শতাধিক অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। থ্রি-প্লাস ওয়ানের মাধ্যমে অবৈধ শ্রমিকদের দেশে ফেরার সুযোগ শেষ হওয়ার পরপরই দেশটির স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহর থেকেই এ সাড়াশি অভিযান চালানো হয়।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে ৫ শতাধিক অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেফতার করার তথ্য জানানো হলেও দেশটির অভিবাসন বিভাগ ৩৯৫ জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে। এছাড়া গ্রেফতারদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
শনিবার দিনভর অবৈধ অভিবাসী বিরোধী এ অভিযান পরিচালনার সময় একজন মহিলা ইমিগ্রেশন অফিসার আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযানের ফলে মালয়েশিয়ায় বাঙালি অধ্যুষিত কোতারায়া এলাকা এখন প্রায় ফাঁকা। যাত্রীবাহী বাসেও প্রবাসীদের তেমন দেখা মিলছে না।
কারণ হিসেবে জানা যায়, এজেন্টর নামে ভিসা করে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করলেও অভিবাসন বিভাগ বলছে তাদেরকেও অবৈধ হিসেবে বিবেচিত করা হবে। এছাড়া অনেকের ভিসা থাকা সত্ত্বেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে প্রবাসীদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান দাতুকে সেরি মুস্তফার আলী সাংবাদিকদের বলেন, সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান পরিচালিত হবে এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের (অবৈধ প্রবাসী) আইনের আওতায় আনতে পারছি ততক্ষণ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ শ্রমিক এবং মালিকদের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লেও এবারের অভিযান ভিন্ন। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার রিঙ্গিতসহ জেল জরিমানার বিধান রয়েছে। এবার তিন বাহিনীর সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় অবৈধ অভিবাসী মুক্ত করা হবে।
যে তিন বাহিনী দিয়ে অভিযান সাজানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেন- ইমিগ্রেশন, পুলিশ ও রেলা। অবৈধ অভিবাসীদের বাসস্থান ও কর্মক্ষেত্র চিহ্নিত করার জন্য রয়েছেন বিভিন্ন বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তি। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করবে অভিবাসন বিভাগ। এছাড়াও পরিত্যক্ত ঘর, ব্রিজের নিচে ও জঙ্গলে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি নাগরিক দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান আরও জোরদার করা হবে। এছাড়া কাজের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করলে তাকেও অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। আর অবৈধ হিসেবে ধরা পড়লেই ব্ল্যাকলিস্টসহ জেল জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
এদিকে শুধু অবৈধ অভিবাসী সন্ধানেই নয়, এবার মালিকপক্ষকেও আইনের আওতায় আনা হবে এবং গ্রেফতারদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার আউট পাস সংগ্রহ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অভিবাসন বিভাগের প্রধান মুস্তফার আ