শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
গ্রাহক বাড়ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে; জনপ্রিয় হচ্ছে নতুন সেবা
প্রকাশিত - সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮ ১১:৪৬ পিএম
ব্যাংকিং শাখা না থেকেও সব সেবা পাচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। সুবিধা বঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। এর জন্য গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে না বাড়তি কোনো চার্জ। এতে করে দিনদিন জনপ্রিয় উঠেছে এজেন্ট ব্যাংকিং, বেড়েই চলছে গ্রাহক সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ গ্রাহক হিসাব খুলেছেন। লেনদেন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই সময়ে মোট স্থিতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। রেমিট্যান্স সংগ্রহের পরিমাণ ৩ হাজার ৫১৪ কোটি ২২ লাখ টাকা, ঋণ বিতরণের পরিমাণ ১৩৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এজেন্টের সংখ্যা তিন হাজার ৫৮৮টি এবং যাদের আউটলেট রয়েছে ৫ হাজার ৩৫১টি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের জুন মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় মোট জমার পরিমাণ ২ হাজার ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে গ্রামের মানুষের জমার পরিমাণ ১ হাজার ৬৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আর শহরাঞ্চলের মানুষের জমার পরিমাণ ৩৫৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪৪৪ কোটি টাকা জমা করেছেন ৬ লাখ ৯ হাজার ৮২৪ এজেন্ট ব্যাংকিং নারী গ্রাহক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মো. আবুল বশর বলেন, গ্রামীণ সুবিধা বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দিতে এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো আশারূপ সারা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এ কার্যক্রমের মাধ্যমে সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে ব্যাংকিংসেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভবপর হচ্ছে।তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা আগামীতে দেশের প্রতিটি গ্রামের মানুষ ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় আসবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হিসাব খোলা, টাকা জমা ও উত্তোলন, টাকা স্থানান্তর (দেশের ভেতর), রেমিট্যান্স উত্তোলন, বিভিন্ন মেয়াদী আমানত প্রকল্প চালু, ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল পরিশোধ, বিভিন্ন প্রকার ঋণ উত্তোলন ও পরিশোধ এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি সব প্রকার ভর্তুকি গ্রহণ করা যায়। এজেন্টরা কোনো চেক বই বা ব্যাংক কার্ড ইস্যু করতে পারে না। এজেন্টরা বৈদেশিক বাণিজ্যসংক্রান্ত কোনো লেনদেনও করতে পারেন না। এছাড়া এজেন্টদের কাছ কোনো চেকও ভাঙানো যায় না। মোট লেনদেনের ওপর পাওয়া কমিশন থেকেই এজেন্টরা আয় করেন।
এ পর্যন্ত মোট ২০ ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার অনুমোদন নিলেও ১৭ ব্যাংক সেবাটি চালু করেছে। এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা ব্যাংকগুলো হলো- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক, এবি ব্যাংক এবং এনআরবি ব্যাংক।
Copyright © 2024 Sunbd24 - Latest News Update About DSE, CSE Stock market.. All rights reserved.