১৬ নন-লাইফ কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণ করেনি

:: প্রকাশ: ২০১৮-০৯-১৬ ১৯:২১:১৯


বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) আইন ভঙ্গ করে জীবন বিমার ব্যবসা পরিচালনা করছে ১৬টি নন-লাইফ বিমা কোম্পানি। বিষয়টি সংস্থাটির নজরে আশার পর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। কোম্পানিগুলোর কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে ইতোমধ্যে চিছি দিয়েছে আইডিআরএ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিমা আইন ২০১০ এর ২১ ধারার বিধান এবং তফসিল-১ মোতাবেক বিমা ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে সর্বনিম্ন ৪০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। কিন্তু এটি পরিপালন না করে ব্যবসা পরিচালনা করছে এমন কোম্পানির সংখ্যা ১৬টি। ফলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয় আইডিআরএ।
আইডিআরএ’র তথ্য অনুসারে, পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পূরণ না করা কোম্পানিগুলো হলো- প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, সিকদার ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বিডি, জনতা ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স।
বিমা কোম্পানিগুলো কর্তৃক আইডিআরএ প্রদত্ত ২০১৮ সালের প্রথম প্রন্তিকের পরিসংখ্যান অনুসারে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সে ৩৫ কোটি ২ লাখ টাকা, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে ২৪ কোটি টাকা, সিকদার ইন্স্যুরেন্সে ২৪ কোটি টাকা, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সে ৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সে ৬ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সে ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এ ছাড়াও তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সে ৩৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সে ৩৫ কোটি ৩ লাখ টাকা, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সে ২৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বিডিতে ৩৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, জনতা ইন্স্যুরেন্সে ৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা, নিটল ইন্স্যুরেন্সে ৩৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সে ২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা মূলধন রয়েছে।
এ বিষয়ে আইডিআরএ’র সদস্য ড. এম মোশারফ হোসেন, এফসিএ বলেন, আমরা চাই সবাই পরিশোধিত মূলধনের শর্ত পরিপালন করুক। এজন্যই আমরা কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়েছি। এ সপ্তাহেই আমরা বিষয়টি নিয়ে ফলোআপে যাব। সেখানে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। যাদের আইপিও’তে যাওয়ার কথা তাদের প্রতিদিন নির্ধারিত হারে জরিমানা তো হচ্ছেই। তবে জরিমানা নিয়েই আমরা বসে থাকবো না। আমরা চাই সবাই আইনটা মেনে চলুক।