সৌদির বিরুদ্ধে জাতিসংঘে মামলা করবে কাতার
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৮-০৯-১৭ ০৯:০২:৪৮
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে কাতার। দেশটির অভিযোগ, তাদের বার্তা সংস্থার (কিউএনএ) ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে দেশ দুটি। এ নিয়ে তাদের হাতে এখন তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে সৌদি ও কাতারের বিরুদ্ধে এবার ‘পাইরেসি’র অভিযোগ দায়ের করা হবে। নিউইয়র্কে অবস্থানরত কাতারের অ্যাটর্নি জেনারেল বিন ফেতাইস আল মারি গত শুক্রবার এ ঘোষণা দেন। খবর মিডলইস্ট মনিটরের।
ফেতাইস আল মারির দাবি, এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক তদন্ত দল সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত হ্যাকিংয়ের ঘটনায় জড়িত বলে প্রমাণ করতে সফল হয়েছে। গত বছরের মে মাসের শেষের দিকে কাতারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কাতার নিউজ এজেন্সি (কিউএনএ) এবং সরকারি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়। হ্যাকাররা কিউএনএর ওয়েবসাইটে একটি ভুয়া প্রতিবেদন যুক্ত করে দেয়। ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ইরান, হামাস, হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছেন।
সে প্রতিবেদনে যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় টিকে থাকবেন কি-না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালের জুনে জঙ্গিবাদে মদদের অভিযোগ তুলে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে শুরু থেকেই কাতার দাবি করে আসছে, দেশটির আমির কখনোই এ ধরনের মন্তব্য করেননি। বরং কিউএনএর ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আমিরের নামে মিথ্যা প্রতিবেদন সেখানে প্রকাশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করেন কাতারের অ্যাটর্নি জেনারেল বিন ফেতাইস আল মারি। তিনি দাবি করেন, কিউএনএ হ্যাকিংয়ের ঘটনায় যে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত জড়িত, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা আলামত সংগ্রহ করেছেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আইনজ্ঞদের একটি দলও উপস্থিত ছিল। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল মুকাসি কাতারের অ্যাটর্নির জেনারেলের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন। মাইকেল মুকাসি নিশ্চিত করেন, গত বছরের মে মাসে কিউএনএ হ্যাকিংয়ের ঘটনায় রিয়াদ ও আবুধাবি যে জড়িত, সে ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। কীভাবে এ ইস্যুটি সামলানো হবে তা নিয়ে তদন্ত দল পরে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক বছর ধরে ঘটনাটি তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই) ও যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিকে সহযোগিতা করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ। পাইরেসিজনিত অভিযোগ নিয়েও তদন্ত হয়েছে।