বিও অ্যাকাউন্ট:
ব্যাংকে অর্থ লেনদেনের জন্য যেমন ১ হিসাব বা অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনা বেচার জন্যও ১টি হিসাব খুলতে হয়। এই অ্যাকাউন্টের নাম বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার) হিসাব।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক অনুমোদিত ব্রোকারেজ হাউজে গিয়ে নির্ধারিত ফরোম পূরণ করে এই বিও হিসাব খোলা যায়। ১ জন ব্যক্তি একক নামে এবং অন্য জনের সাথে যৌথ নামে বিও হিসাব খুলতে পারেন। এই বিও হিসাবের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ তথা শেয়ার লেনদেন করা যায়। তাই অর্থ লেনদেনের জন্য প্রতিটি বিও হিসাবের বিপরীতে ১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হয়।
বিও খুলতে কি লাগে:
১। প্রত্যেক আবেদনকারীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
২। বিও হিসাবের নমিনির ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
৩। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি বা পাসপোর্টের প্রথম ৪ পাতার সত্যায়িত ফটোকপি বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। ব্যাংক হিসাবের প্রমাণ স্বরূপ ব্যাংক সনদ বা ব্যাংক হিসাবের বিবরণী। পাশাপাশি ব্যাংক হিসাবের চেকের ১টি ফটোকপি।
এই হিসাব খোলার পর ২ ভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যায়।
১। প্রাইমারি মার্কেট
২। সেকেন্ডারি মার্কেট।
প্রাইমারি শেয়ারঃ
বাজারে কোনো কোম্পানি প্রথমে প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে প্রবেশ করে। অর্থাৎ নতুন কোনো কোম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তাকে প্রথমে প্রাইমারি শেয়ার ছাড়তে হবে।
একটি ২ পদ্ধতিতে বাজারে আসতে পারে। ফিক্সড প্রাইস এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতি। প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের একটা ফেস ভ্যালু থাকে। এখন যত কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে সবারই ফেস ভ্যালু ১০ টাকা। ফিক্সড প্রাইসে আসলে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য হবে ১০ টাকা। আর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসলে নিলামের মাধ্যমে শেয়ার দর নির্ধারিত হবে।
সেকেন্ডারি শেয়ারঃ
প্রাইমারি শেয়ার যখন কেউ বিক্রি করে দেয় তখন তা সেকেন্ডারি শেয়ারে পরিণত হয়। সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে হলে আপনার শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
আপনাকে ব্যবসা করার জন্য ফান্ডামেন্টাল, টেকনিক্যাল এনালাইসিস সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ধারণা অর্জন করতে পারলে শেয়ার ব্যবসায় আপনি ভালো লাভ করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারে ব্যবসা করেন এবং একে পেশা বা বাড়তি ইনকামের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে চান তবে সেকেন্ডারি মার্কেট খুবই উত্তম জায়গা।