অব্যাহত লেখক-প্রকাশক হত্যা, হামলা, হামলার হুমকীর প্রতিবাদে এবং মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও খুনিদের বিচার দাবিতে গণজাগরণমঞ্চের ডাকা আজকের (মঙ্গলবার) আধাবেলা (সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা) হরতাল পালিত হল।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শাহবাগ প্রজন্মচত্বরে অবস্থান নিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। সকাল ৭টার দিকে প্রজন্মচত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে বাটা সিগন্যাল ঘুরে এসে শেষ হয় শাহবাগ মোড়েই। এর পর থেকেই শাহবাগ মোড়ের মূল সড়কেই অবস্থান নেন তারা। এরপর থেকে সেখানে সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
শাহাবাগ ছাড়াও রাজধানীর পল্টন, মিরপুর ১০ নম্বর মোড়েও অবস্থান নিয়েছে হরতাল সমর্থনকারীরা। সেখানেও বন্ধ রয়েছে গাড়ি চলাচল।
রাজধানী ছাড়াও, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের প্রধান প্রধান পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও হরতাল সমর্থক জনতা।
এদিকে হরতালে সমর্থন জানিয়ে এবং সর্বোত ও শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্টী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ অন্যান্য বামপন্থী সংগঠনসমূহ।
প্রসঙ্গত, জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা, কবি তারেক রহিম, শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল ও লেখক রণদীপম বসুকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে গত রোববার এ অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে গণজাগরণ মঞ্চ।