ড্রিউ ব্যারিমোরের নাকি সংসারই টেকে না। একের পর এক সম্পর্কে জড়ান আর ভাঙেন তিনি। বিয়ে করেন আর ছেড়ে দেন। যদিও এই মুহূর্তে তিনি আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। মার্কিন এ অভিনেত্রীকে নিয়ে এক ফিচারে এসব বানোয়াট কথা লিখে ফেঁসে গেছে ‘হোরাস’ নামের মিসরীয় একটি ফ্লাইট ম্যাগাজিন। বৃহস্পতিবার রাতে এ নিয়ে অনলাইনে বেঁধে যায় তুলকালাম কাণ্ড।
‘নেভার বিন কিসড’, ‘চার্লিস অ্যাঞ্জেলস’, ‘ফিফটি ফার্স্ট ডেটস’ ছবিগুলোর এ নায়িকাকে নতুন করে চেনাতে হবে কেন? অভিনয় করছেন সেই শৈশব থেকে। তাঁর ব্যাপারে উদ্ভট এ তথ্যগুলোকে সূত্র বলছে অপমানজনক, ব্যাকরণগত ভুলে ভরা এবং বানোয়াট।
‘হোরাস’ ম্যাগাজিনের এ কাণ্ডটি প্রথম গোচরে এনেছেন অ্যাডাম ব্যারো নামের এক ইয়েমেন বিশেষজ্ঞ। গত মঙ্গলবার ম্যাগাজিনের কয়েকটি পাতা টুইটারে তুলে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমম, পরাবাস্তব।’
কী কী প্রকাশ করেছে ‘হোরাস’? প্রকাশিত ফিচারে বলা হয়েছে, ব্যারিমোরের রোমান্টিক জীবন স্থির নয়। বেশ কয়েকটি সংসার ভেঙেছে তাঁর। তবে এই আমেরিকান সুন্দরী এবার মা হওয়ার জন্য দীর্ঘ ছুটি নিয়েছেন। শুধু কি তাই, ফিচারে রীতিমতো টালি করে দেখানো হয়েছে, প্রেম, বাগদান ও বিয়ে মিলিয়ে মোট ১৭টি পুরুষ বদলেছেন তিনি। কেননা ৯ বছর বয়সে মা-বাবার ছাড়াছাড়ির পর স্বাভাবিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি।
অভিনেত্রীর এক মুখপাত্র হাফিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, যেমনটি ছাপা হয়েছে, এ রকম কোনো সাক্ষাৎকার তিনি কোথাও দেননি। অন্য দিকে ইজিপ্ট এয়ার বলছে, এটি একজন পেশাদার সাংবাদিকের নেওয়া সাক্ষাৎকার। যিনি নিয়েছেন, ড. আইজা টেকলা, হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। লেখকের নামে এয়ারলাইন টুইটারে লিখেছে, নিউইয়র্কে নেওয়া এ সাক্ষাৎকারটি ‘আসল’। তিনি গোল্ডেন গ্লোবের একজন ভোটার।
ওই ফিচারাইজ সাক্ষাৎকারের সব থেকে আপত্তিকর বক্তব্যটি হচ্ছে, ‘...সেই থেকেই তিনি একজন পুরুষের সঙ্গ ও যত্ন আকাঙ্ক্ষা করে আসছিলেন। কিন্তু চাইলেই তো আর সবকিছু পাওয়া যায় না। নানা কারণে কোনো সম্পর্কই বেশি দিন টেকেনি তাঁর।’
ব্যারিমোরকে নিয়ে প্রকাশিত ওই লেখাটি নিয়ে টুইটারে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সরব গণমাধ্যম। কেবল ব্যারিমোর রয়েছেন চুপচাপ। অন্তত টুইটারে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি গোল্ডেন গ্লোব জয়ী এই অভিনেত্রী। বিবিসি, সিএনএন