রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের শাক-সবজি আসতে শুরু করলেও দাম কমতে শুরু করেনি। এখন হল শাক-সবজির মৌসুম তা সত্ত্বেও বাজারে সব ধরনের শাক-সবজির দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা, তাদের দাবি বাজারে শাক-সবজির আমদানি যত বাড়ছে, দাম ততই কমতে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও মতিঝিল কলণী বাজার ঘুরে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে রাজধানীর এ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নানা ধরনের শীতের শাক-সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। শাকের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পালং শাক, সরিষা শাক, মুলা শাক, লাউ শাক প্রভৃতি। এগুলো আঁটি ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকা দরে। এ ছাড়া সবজির মধ্যে লাউ প্রতিটি ৪০-৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ফুল কপি প্রতি টি ৩০-৩৫ টাকা, বাধা কপি প্রতিটি ২০-২৫ টাকা বেগুন কেজি ৪০-৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মতিঝিলের কলণী বাজারে কথা হয় সাবরিনা মম কথার সাথে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তিনি বলেন, ‘শীতের সময়টাই মূলত রবি শস্যের মৌসুম। এখনই আমরা বেশি করে শাক সবজি খাই। কেননা এই সময়েই সবচেয়ে বেশি সবজি বাজারে ওঠে। প্রতিবেলাতেই তিনি আলাদা করে সবজির পদ রাখেন খাবারের সঙ্গে। কিন্তু মৌসুমী শাক-সবজির মৌসুমে এর দাম একনো তুলনামূলকভাবে কমছে না।
মৌসুমি শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমান খাদ্য পুষ্টিগুণ। তাই বাচ্চাদের বেশি করে দেশীয় এ সবজির সাথে পরিচয় করানো এবং খাওয়ানো আমাদের একান্ত কর্তব্য বলে তিনি মনে করেন।
মতিঝলের কাঁচামাল বিক্রেতা আবদুল বারেক বলেন, দুই সপ্তাহ আগেও এই সবজিগুলোর দাম প্রতি টি ও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি ছিল। এই সপ্তাহে সরবরাহ বেড়েছে বলে দামও কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, শিম, ধুন্দুল, ফুলকপি, বাঁধাকপি এসব বেশি আসছে কুষ্টিয়া, খুলনা ও যশোর এলাকা থেকে। এসব এলাকার তুলনামূলক উঁচু জায়গায় এসব সবজি চাষ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অন্য এলাকায় বন্যার পানি সরে গেছে সেখানেও শাক-সবজি চাষ শুরু হয়েছে। এগুলো এক যোগে আসা শুরু হলে দাম অনেক কমে আসবে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস